রক্ত সংকটে মুশকিল আসান হয়ে উঠলেন বোলপুর নিবাসী কয়েকজন শিক্ষক
গৌতম সাহা,বোলপুরঃ
"সকলের তরে সকলে আমরা / প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"
মানুষ সমাজবদ্ধ জীব । একা একা কেউ বাঁচতে পারে না। সকলকে নিয়েই মানুষ বাঁচে। পারস্পরিক দেওয়া-নেওয়া, সহযোগিতা ও সহানুভূতির ভিত্তিতে আমাদের এই সমাজ গড়ে ওঠে। তাই সকলের উচিত সকলের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ানো। পরের মঙ্গলের জন্য যাঁরা জীবন উৎসর্গ করেন, তাঁরাই তো মহান ব্যক্তি ।
বিগত আট মাস যাবৎ করোনা কালে নানা রকম সামাজিক সংকটের মধ্যে দিয়ে অামরা এখনও চলেছি। গাড়ি,ট্রেন সহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করলেও স্বাভাবিক ছন্দে এখনও ফেরেনি মানুষের জীবনযাত্রা। যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে করোনা অাক্রান্তদের সর্বোচ্চ স্তরে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে চলেছে প্রশাসন। এদিকে রক্তদাতার অভাবে ব্লাড ব্যাঙকগুলোতে চলছে তীব্র রক্ত সংকট। রক্তের অভাবে মুমুর্ষ রোগীকে বাঁচানো অসম্ভব হয়ে উঠছে চিকিৎসকদের কাছে। এরকম একটি ব্লাড ব্যাঙক বোলপুর ব্লাড ব্যাঙক যেখানে কয়েকদিন ধরে চলছে তীব্র রক্ত সংকট। সেখান থেকেই হটাৎ ফোন আসে প্রাথমিক শিক্ষক মইদুল ইসলামের কাছে যিনি UUPTWA শিক্ষক সংগঠনের মাধ্যমে ইতিমধ্যে কয়েকটি রক্তদান শিবিরের অায়োজন করে ব্লাড ব্যাঙকের আধিকারিকদের কাছে যথেষ্ট পরিচিত মানুষ হয়ে উঠেছেন। বোলপুর ব্লাড ব্যাঙকে রক্তের সংকট শুনে তিনি একবিন্দু সময় নষ্ট না করে মাঠে নেমে পড়লেন, সঙগ পেলেন ওয়াসিফভাইয়ের।
তড়িঘড়ি ডেকে নিলেন চায়ের দোকান "'সাকিব ভাই ঠেক" এ আড্ডা দেওয়া আরও কয়েকজন প্রাথমিক ও হাইস্কুলের শিক্ষকদের, এছাড়াও ডেকে নিলেন আরও কয়েকজন শিক্ষিত বেকার যুবকদের। চললো বোলপুর ব্লাড ব্যাঙকের অধীনে একটি সফল রক্তদান শিবির। গতকালের এই রক্ত দান শিবিরে রক্তদান করলেন তিনজন মহিলাসহ প্রায় ৩০ জন রক্তদাতা।
সময় অভাবে অনেক রক্তদাতাকে ফিরিয়ে দেওয়া হল। উক্ত রক্তদান শিবিরে উপস্তিত ছিলেন ইলামবাজার থানার ও সি তাপাই বিশ্বাস মহাশয়। এই রক্তদান শিবিরের সমস্ত খরচা বহন করেন ইলামবাজারের সাবমার্সিবল ব্যাবসায়ী এস বি মেশিনারির মালিক বিপুল। চায়ের দোকান "সাকিব ভাই ঠেক" এ আড্ডা দেওয়া শিক্ষকরা অঙ্গীকারবদ্ধ যে আগামী দিনে এই রকম রক্তদান শিবির বছরে দুবার করে করবেন। প্রাথমিক শিক্ষক মইদুলবাবু জানালেন রক্তদান এক মহৎ কর্ম কারণ একটু রক্তদান মানে একটা জীবন দান করা তাই আগামী দিনে এইভাবে তারা সমাজের কাজে এগিয়ে আসবেন। এছাড়াও তাদের অপর কর্মসূচি হলো শীতে দুস্থ মানুষদের কম্বল বিতরণ করা।
No comments:
Post a Comment