প্রাথমিক শিক্ষকদের ন্যায্য বেতন তথা সর্ব ভারতীয় স্তরে বেতন ও নোশন্যাল এফেক্টের দাবিতে বিজেপি শিক্ষক সেলের বিধান সভা অভিযান
গৌতম সাহা, কোলকাতাঃ
আজ বিজেপি টিচার্স সেলের আহবানে রাজ্যের প্রায় দুই লক্ষ প্রাথমিক শিক্ষকদের নায্য বেতন তথা বেতন বঞ্চনার প্রতিবাদে বিজেপির রাজ্য অফিস থেকে শুরু করে বিধানসভা অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। বেতন বঞ্চনার অবসান সহ মোট ছয় দফা দাবিতে বিজেপি টিচার্স সেলের প্রাথমিক শাখার পক্ষ থেকে বিধানসভা অভিযানের এই ডাক। দাবিগুলি হল-
১) প্রাথমিক শিক্ষকদের অবিলম্বে সর্বভারতীয় হারে বেতন ক্রম তথা PRT SCALE চালু করতে হবে। তাদের নোশনাল এফেক্ট ০১.০১.২০০৬ থেকে দিতে হবে।
২) সমস্ত প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে হবে ও অবিলম্বে সকল শূন্যপদে স্বচ্ছভাবে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
৩) জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকরী করতে হবে। ৩ থেকে ৬ বছর বয়সের শিশুদের জন্য সরকারী শিক্ষাব্যবস্থা শুরু করতে হবে।
৫) ট্রান্সফার দুর্নীতি বন্ধ করে স্বচ্ছ ট্রান্সফার নীতি চালু করতে হবে।
৬) সিনিয়রিটি মেনে বেসিক হিসেব করতে হবে।
বিভিন্ন জেলা থেকে প্রাথমিক শিক্ষকরা এই মিছিলে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন।বিজেপি টিচার্স সেলের কনভেনার দিপল বিশ্বাসের নেতৃত্বে ঠিক বেলা ১২টায় মিছিল সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে বিধানসভা অভিমুখে এগিয়ে যেতে থাকে।
শিক্ষক সেলের রাজ্য কো-কনভেনার তথা প্রাথমিক শাখার রাজ্য ইনচার্জ সব্যসাচী ঘোষ জানালেন দেশের অন্য সমস্ত রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষকদের কেন্দ্রীয় হারে বেতন দেওয়া হচ্ছে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেই সেটি ব্যাতিক্রম। তাই তাদের আন্দোলন নায্য দাবীকে সামনে রেখেই।
কোলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় ও চাদনীচকের অনতিদূরে মিছিলকে ব্যারিকেড দিয়ে আঁটকে রাখা হলে প্রাথমিক শিক্ষকরা রাস্তায় বসে পড়েন ও সেই খানেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়। ইতিমধ্যে শিক্ষকদের অবস্থানের মাঝে উপস্থিত হন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র দেবজিৎ সরকার মহাশয়। তিনি শিক্ষকদের দাবীর সমর্থনে জোরালো বক্তব্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড, শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতি লাভ করতে পারেনা, “যে জাতি যত বেশী শিক্ষিত সে জাতি তত বেশী উন্নত।” এসব প্রবাদগুলো যাকে ঘিরে রচিত হয়েছে তিনি হলেন “শিক্ষক”। শত শত বছর ধরে শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন।অথচ এই সরকার জাতীর মেরুদণ্ডকে ভেঙে ফেলতে চাইছেন, মানুষ গড়ার কারিগর সেই শিক্ষকদের সম্মান দেননা। তিনি দাবী করেন বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষক তথা অন্যান্য শিক্ষকদের নানা ভাবে বঞ্চনা করে আসছে। তিনি আরো বলেন আগামীদিনে আর কয়েকমাসের ব্যাবধানে রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠন হতে চলেছে এবং নতুন সরকার গঠনের তিন মাসের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষকদের নায্য দাবী মিটিয়ে দেবেন।
এই অবস্থান বিক্ষোভে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শিক্ষা সেলের কনভেনররা শিক্ষদের নায্য দাবীর সাপেক্ষে বক্তব্য রাখেন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী বিকাল বেলায় এই অবস্থান তুলে নেওয়া হয়।
No comments:
Post a Comment