জল্পেশ মন্দিরে দুর্নীতির অভিযোগ
ময়নাগুড়িঃ
উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী শৈবতীর্থ দাম জল্পেশ মন্দির যা অবস্থিত জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকে । এই মন্দির প্রাচীন মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম । এখানে শিলিগুড়ি , জলপাইগুড়ি , কোচবিহার , আলিপুরদুয়ার বাদ দিয়েও গোটা উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি নেপাল, ভুটান , বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্য ও জেলার মানুষেরা আসেন বাবা শিবের মাথায় জল ঢালতে। সেই মন্দিরে দুর্নীতির অভিযোগ স্থানীয় জল্পেশ মন্দির ঐতিহ্য বাঁচাও কমিটির সদস্যদের। শনিবার তারা ৮ দফা দাবিতে জল্পেশ মন্দির কমিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক গিরীন্দ্রনাথ দেবের হাতে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
তাদের দাবিগুলি হলোঃ
(১) স্পেশাল টিকিট কাউন্টারে ১০০ টাকা কমিয়ে বয়স্কদের জন্য একটি স্পেশাল গেট করতে হবে ।
(২) কুড়ি টাকার টিকিট বন্ধ করে দশ টাকা চালু করতে হবে ।
(৩) সিরিয়াল নাম্বার অনুযায়ী টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট সরবরাহ করতে হবে।
(৪) জল্পেশ মন্দির থেকে জল্পেশ মেলা মাঠ যাওয়ার রাস্তায় পর্যাপ্ত পরিমাণে লাইটের ব্যবস্থা করতে হবে ।
(৫) পুণ্যার্থীদের জন্য মন্দিরে জলের ব্যবস্থা করতে হবে।
(৬) টেন্ডার ছাড়া মন্দিরে জানলা দরজা তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু কেন? তার জবাব দিতে হবে।
(৭) বিগত দিনে পাতালেশ্বর নন্দীভৃঙ্গী , হাতির গেট , শিব পার্বতীর গেট গুলি টেন্ডার দেওয়া হতো কিন্তু এখন দেওয়া হয় না কেন? তারা নিজের পছন্দ লোকের হাতে টাকা গুঁজে দিয়ে কাজ করাচ্ছে ।
(৮) মন্দির ট্রাস্টিবোর্ডের সদস্য মারা গেলে তারা সেই শূন্যস্থান নিজের পছন্দ মত অন্য কাউকে দিয়ে পূরণ করে। লোকাল মানুষকে নিয়োগ করা হয় না । ফলে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয়রা ।
পাশাপাশি তাদের অভিযোগ মেলায় বিভিন্ন মাতালদের ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করানো হয় । তারা মেলায় ডিউটি না করে রাস্তাঘাটে পড়ে থাকে । মন্দিরের অতিথি নিবাস প্রতিবছর ঘাটতি হয় । সেই ঘাটতি সত্বেও মন্দির কমিটি টেন্ডার করে না । মন্দির কমিটিতে থাকার মেয়াদ শেষ হওয়া সত্বেও স্বার্থের লোভে মন্দির কমিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক গিরীন্দ্রনাথ দেব নিজের নামটি পাশ করে সেই চেয়ারে এখনো বসে আছেন ।
যদিও এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের আগে মুখ খুলতে নারাজ জল্পেশ মন্দির ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক গিরীন্দ্রনাথ দেবের ।
No comments:
Post a Comment