নববর্ষে বাঙালির হেঁশেলে রাবড়ি বানানোর সহজ রেসেপি নিয়ে হাজির মৌসোনা
মৌসোনা ঘোষ
বাঙালিয়ানার কি পরিবর্তন হয়েছে? না বাঙালিদের জিভের স্বাদের পরিবর্তন হয়েছে? বাঙালি রান্নাঘরে সেই চিরপরিচিত স্বাদ-গন্ধের কি আকাল দেখা দিচ্ছে? তবে কেন বাড়িতে অতিথি আসলে বাইরে থেকে খাবার আসে? কেন জামাইষষ্ঠী থেকে দূর্গা পুজোর খাওয়া-দাওয়া ক্ষেত্রে এখন অধুনা বাঙালি রেস্তোরাঁর দিকে ঝুঁকে পড়েছে? পাত পড়ছে রেস্তোরাঁর টেবলে? কিন্তু পাতে তো নতুন কিছু না, বাহারি কায়দায় পরিবেশন করা হচ্ছে বাঙালির চিরাচরিত রান্নাই! তবে ঘরে কেন রান্না হবে না? কেন অতিথিরা হোটেলে খেতে যাবে ? তবে কি বাঙালি তার অতিথিকে খাওয়ানোর সনাতন পদ্ধতি ভুলে যাচ্ছে ?
তবে যাইহোক আজ এই বিশ্বায়নের যুগে বাঙালি রান্নার মধ্যেও ঢুকে গেছে বিভিন্ন ফিউশন রান্না।আর্ন্তজাতিকতার মিশেলে সেই চির পরিচিত বাঙালি রান্না হয়ে ওঠে স্বাদে গুণে সেরা । গ্লোবালাইজেশানের পিঠে সওয়ার হয়ে বাঙালিরান্না জয় করেছে পৃথিবীর সব খাদ্য রসিকদের মন । এমনই সব রান্না নিয়ে মৌসোনা হাজির বাঙালির হেঁশেল এ । আজ নববর্ষে থাকছে মিষ্টি মুখ। থাকছে রাবড়ি বানানোর সহজ রেসেপি।
রেসিপি : রাবড়ি
উপকরণ: এক লিটার দুধ , এক চিমনী করে কেশর ও এলাচ গুড়ো, এক চামচ করে পেস্তা কুচি ও কাজু কুচি , চিনি প্রয়োজন মতো।
প্রণালী: প্রথমে এক লিটার দুধকে ভালো করে ফুটিয়ে প্রায় 300 ml করে নিতে হবে। দুধ ফোটানোর সময় মিডিয়াম আঁচে ফোটাতে হবে এবং দুধের যে সর হবে সেটা কড়াইয়ের পাশে হাতার সাহায্যে সরিয়ে রাখতে হবে। দুধটা জাল করার সময় বার বার কয়েক মিনিট পর পর যখন দুধ ফুটে ওপরে আসবে ঠিক তখনি সর সরিয়ে করাইতে লাগিয়ে রাখতে হবে।
এইভাবে দুধ যখন ঘনো হয়ে আসবে তখন একটু এলাচ গুড়ো, কেশর , পেস্তা ও কাজু কুচি এবং প্রয়োজন মতন চিনি দিতে হবে। এর পর আরও দশ মিনিট ফুটিয়ে ওভেন অফ করে কড়াইয়ের পাশে লেগে থাকা সব সর গুলো ভালো করে কেচে ঘনো দুধে দিয়ে দিতে হবে।
এই ভাবেই তৈরি হয়ে যবে খুব সহজ রেসিপি রাবড়ি। রাবড়িটাকে ফ্রিজে ঠান্ডা হতে দিন।একটি মাটির পাত্রে রাবড়িটাকে ঢেলে ওপরে নিজের পছন্দ মতো করে সাজিয়ে সবাইকে পরিবেশন করুন ঠান্ডা ঠান্ডা রাবড়ি।
No comments:
Post a Comment