শুনশান জল্পেশ মন্দির
মধুসূদন রায়, ময়নাগুড়িঃ
করোনার সংক্রমণ রুখতে আংশিক লকডাউন ঘোষণা করেছেন রাজ্য সরকার । প্রশাসনিক নির্দেশিকায় বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়সীমা । সেই কথা মাথায় রেখে এবছর এক মাস ধরে চলতে থাকা বৈশাখী মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় জল্পেশ মন্দির কমিটি । তবে মেলা বন্ধ রাখলেও খোলা ছিল মন্দিরের প্রবেশ দ্বার ।
উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের শিবতীর্থ জল্পেশ ধাম। প্রতি বছর বৈশাখী মেলাকে কেন্দ্র করে মেলা বসে জল্পেশ মন্দির সংলগ্ন এলাকায় । মেলার আগেই পসরা সাজিয়ে বসে পড়তে দেখা যায় দূরদূরান্ত থেকে আসা দোকানদারদের , তবে করোনার জেরে এবছর শুনশান জল্পেশ মন্দির । বৈশাখী মেলা উপলক্ষে প্রতিবছর জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার সহ বাইরে থেকেও প্রচুর পূর্নার্থীর সমাগম হয় মন্দিরে। এবছর করোনোর কথা মাথায় রেখে বৈশাখী মেলা বন্ধ রাখার হয় । তবে মানত করা পুণ্যার্থীদের জন্য খোলা ছিল মন্দিরের প্রবেশ দ্বার । অক্ষয় তৃতীয়ার দিনেও শুনশান জল্পেশ মন্দির । এদিন হাতে গোনা মাত্র কয়েকজনকে পুজো দিতে দেখতে পাওয়া গেল মন্দিরে । প্রতিবছর অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে পুণ্যার্থীদের সমাগমে জমজমাট হয়ে ওঠে জল্পেশ মন্দির । এবছর করোনার জেরে তাঁর বিন্দুমাত্র ভীড় নেই মন্দির চত্বরে ।
এবিষয়ে জল্পেশ মন্দির ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক গিরিন্দ্রনাথ দেব বলেন, "করোনা পরিস্থিতির জন্য মেলা বন্ধ রাখা হয়েছে । তবে মানত করা পুণ্যার্থীদের জন্য মন্দির খোলা আছে । মন্দির প্রবেশে সকলকেই মাস্ক পড়তে হবে এবং স্যানিটাইজ করতে হবে । মন্দিরের ভিতরে দশ মিনিটের বেশি থাকা নিষেধ । মন্দিরে পুণ্যার্থী আসতেছে এবং পুজো দিয়ে চলে যাচ্ছে ।"
ভোটপাট্রি থেকে আসা রত্না রায় বসুনিয়া বলেন, "মানত আছে তাই মন্দিরে পুজো দিতে এসেছি । মন্দিরে এসে খুব ভালো লাগছে । আমরা সকলেই মাস্ক পড়ে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মন্দিরে পুজো দিই ।
স্থানীয় এক দোকানদার বলেন , এবছর বন্ধ রাখা হয় বৈশাখী মেলা । আগে ভালো বিক্রি হতো । করোনার জেরে কমে গেছে বেচাবিক্রি ।
No comments:
Post a Comment