পর্যটন ব্যবসা খোলা রাখার আবেদন রিসোর্ট মালিক ও জিপসি চালকদের
জয়ন্ত বর্মন,চালসা,২২ জুন :: চাপরামরি ও গরুমারার মেদলা নজর মিনার পর্যটকদের জন্য খোলা রাখার জন্য মন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান । করোনার জন্য কার্যত লকডাউনে মুখ থুবড়ে পড়েছে পর্যটন ব্যাবসা।এতে স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তায় পড়েছে রিসোর্ট মালিকেরা। গত ১৬ জুন থেকে প্রতি বছরের ন্যায় তিন মাসের জন্য সমস্ত জঙ্গল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আর পর্যটকদের দেখা মিলছে না।
দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গল বন্ধ থাকার জন্য সমস্যায় পড়েছে জিপসি চালক সহ রিসোর্ট মালিকেরা।মূলত ডুয়ার্সের গরুমারা ও চাপরামরি জঙ্গলকে কেন্দ্র করে মূর্তি,ধুপঝোরা,চালসা,বাতাবাড়ি, মঙ্গলবাড়ি, মাথাচুলকা এলাকার পর্যটন ব্যাবসা চলে। টানা এই জঙ্গল বন্ধের জেরে পর্যটক না আসায় ওই সমস্ত এলাকার অর্থনৈতিক অবস্থার আরো অবনতি হবে।এই পরিস্থিতিতে বর্ষার তিন মাস চাপরামরি ও গরুমারার মেদলা নজর মিনার পর্যটকদের জন্য খোলা রাখার আবেদন রিসোর্ট মালিক ও জিপসি চালকদের।
মঙ্গলবার রিসোর্ট মালিকদের সংগঠন গরুমারা টুরিসাম ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েসন ও মূর্তি জিপসি ওনার্স এসোসিয়েসনের তরফে পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে আবেদনের ভিত্তিতে লিখিত আকারে স্মারকলিপি দেন। এদিন মূর্তি বাতাবাড়ি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সে গিয়ে দুই সংগঠনের প্রতিনিধিরা মন্ত্রীকে ওই লিখিত কপি জমাও দেন । যদিও মন্ত্রী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় বাবস্থ্যা নেওয়ার আশ্বাস দেন ।
সংগঠন সূত্রে জানা যায়,চাপরামরি ও মেদলা নজরমিনার দুটো মূল জঙ্গল থেকে অনেকেটাই বাইরে । তাছাড়া গত বছর বর্ষায় চাপরামরি নজরমিনার খোলা ছিল।এবছরও যাতে সেগুলো খোলা রাখা হয় সেই বিষয়ে এদিন মন্ত্রীকে জানানো হয় । এর আগেও ওই দুই সংগঠনের তরফে দাবির কথা বনমন্ত্রীকেও পাঠানো হয়েছে ।
পাশাপাশি জঙ্গল বন্ধের সময়ে জিপসি গাড়ির কর মুকুবের আবেদনও জানানো হয় এদিন। উপস্থিত ছিলেন, রিসোর্ট এসোসিয়েসনের সম্পাদক দেবকমল মিশ্র, সভাপতি তজমল হক, সোনা সরকার, মহেশ্বেতা রায়, জিপসি এসোসিয়েসনের সম্পাদক সামিন আহমেদ ফেরদৌস, পরিচালক মজিদুল আলম সহ অন্যান্যরা ।
No comments:
Post a Comment