অনার্স পিজি টিচারদের জন্য সুখবর!
অনার্স পিজি টিচারদের পদোন্নতি (৮, ১৬,২৫ বছরে) বিষয়ে পিটিশনার অনার্স পিজি টিচার শিক্ষক সংগঠন " অল পোস্ট গ্ৰ্যজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন " এর CAS এর হাইকোর্টের রায় অনুসারে ফিজিক্যাল হেয়ারিং ডাকলো স্কুল এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট।
আগামী ২৮শে জুন, সোমবার বেলা ১২টার সময় এই ফিজিক্যাল হেয়ারিং অনুষ্ঠিত হবে । এই হেয়ারিং বিষয়ে বিকাশ ভবন থেকে চিঠি এসেছে এবং ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ করেও জানিয়েছেন জয়েন্ট সেক্রেটারি - সংগঠন সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
এই হেয়ারিং এ উপস্থিত থাকতে পারেন স্কুল শিক্ষা কমিশনার, ডেপুটি ডিরেক্টর অলোক সরকার ও অন্যান্য আধিকারিকগণ। গুরুত্বপূর্ণ এই ঐতিহাসিক হেয়ারিং এর দিকে তাকিয়ে রাজ্যের শিক্ষক মহল।
প্রসঙ্গত সরকারি স্কুল গুলিতে শিক্ষকদের পদোন্নতির সুযোগ থাকলেও সরকার পোষিত স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষিকাদের এই সুযোগ দেওয়ার জন্য শিক্ষক সংগঠন " অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন" মামলা করে। পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারী,যাদের চাকরিতে পদোন্নতির সুযোগ নেই তারা 8 বছর ,16 বছর এবং 25 বছর চাকরি সম্পন্ন করার পর একটি করে অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট সহ পরবর্তী উচ্চতর স্কেলে উন্নীত হন। এটাকেই বলা হয় CAS. পুরো নাম Career Advancement Scheme ।
CAS এর সুবিধা চালু থাকায়, সরকারি স্কুলের পিজি টিচারদের আট বছর পর গ্রেড পে বেড়ে 5400 হয়, 16 বছর পর গ্রেড পে বেড়ে 6600 হয়, এবং 25 বছর পর গ্রেট 7600 হয়।
কিন্তু সরকারী সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলির পিজি টিচার দের গ্রেড পে পরিবর্তন হয় না 4800 ই থাকে। সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের পাশ গ্রাজুয়েট টিচারদের 18 বছর পর গ্রেড পরিবর্তন হয় (4100 থেকে 4400)কিন্তু পিজি টিচারদের সেটাও হয় না। এটা না থাকার ফলে একই সাথে সরকারী স্কুলে ও সরকারী সাহায্য প্রাপ্ত স্কুলে কর্মরত দুজন পিজি টিচার এর মধ্যে প্রতি মাসে বেতনের পার্থক্য 15000 টাকা হতে পারে। তাছাড়া সাহায্য প্রাপ্ত স্কুলের পিজি টিচাররা ই একমাত্র কর্মচারী যারা চাকুরী জীবনে 10 বছর ও 20 বছরে একটি করে অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট ছাড়া অন্য কিছু পাননা।
সুতরাং অনার্স স্কেলের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে, এই কেসের রায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চাকুরির ৮,১৬ ও ২৫ বছর অতিক্রান্ত হলে পরবর্তী উচ্চতর স্কেলে উন্নীত হওয়ার জন্য প্রাপ্য ক্যাস( Career Advancement Scheme) সুবিধার জন্য আজ কেসের রায় দিলো হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর বি শরাফ। শিক্ষা দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে মামলাকারীদের বিষয়টি বারো সপ্তাহের মধ্যে বিবেচনা করে যুক্তিযুক্ত অর্ডার প্রকাশ করার নির্দেশ দেন।
সংগঠনের সভাপতি রথীন সাঁই বলেন, "কোর্টের রায় বিবেচনা করে স্কুল/মাদ্রাসা শিক্ষকদের জন্য CAS প্রদান বিষয়ে দ্রুত নির্দেশিকা জারী করুক সরকার। এই রায়ের পর রাজ্যের হাজার হাজার শিক্ষক এতোদিনের বঞ্চনার অবসান ঘটবে"।
আইনজীবী সিদ্ধার্থ শংকর মন্ডল বলেন, " সরকার পোষিত স্কুল ও মাদ্রাসাগুলোর অনার্স /পিজি ক্যাটাগরি শিক্ষক শিক্ষিকাদের বেতন ক্রমের প্রতি সরকারের বৈষম্য মূলক আচরন অনভিপ্রেত । উচ্চ আদালতের রায় অনুসারে শিক্ষা দপ্তর মামলাকারীদের স্বার্থে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুক এবং বৈষম্য দূর হোক"। পিটিশনার হিসাবে সংগঠনের নেতৃত্ব এটিকে নৈতিক জয় হিসাবে দেখছেন।
মামলাকারী সংগঠনের সম্পাদক চন্দন গরাই বলেন, " শিক্ষকদের পদোন্নতির সুযোগ চালু করা অত্যন্ত আবশ্যক, কোর্টের রায়ে রাজ্য সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এই হেয়ারিং এর জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে । "
No comments:
Post a Comment