স্থায়ীকরণের দাবীতে গণ ই-মেইল কর্মসূচী বিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের শিক্ষকদের
রাজ্যে দীর্ঘদিন সঠিক সময়ে এস এস সি পরীক্ষা না হওয়ার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষকের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এই ঘাটতি পূরণের জন্য বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতিগুলো বিভিন্ন বিদ্যালয়ে আংশিক সময়ের শিক্ষক নিয়োগ করে থাকেন। মূলত বাম আমল থেকেই বিদ্যালয়ে আংশিক সময়ের শিক্ষক নিয়োগ হয়ে আসছে। বিদ্যালয়ের এই আংশিক সময়ের শিক্ষকদের সামান্য বেতন দেওয়া হয় বিদ্যালয় ফান্ড থেকে। মাসিক এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকা উনাদের বেতন দেওয়া হয়। অথচ একজন স্থায়ী শিক্ষকের সমান তাদেরকে ক্লাস করতে হয় বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এমনকি মিড-ডে-মিল,বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা সমস্ত কাজেই তাদেরকে পরিচালনা করতে হয়। অথচ তাদের কাজের কোন স্থায়ীত্ব নেই।
এস এস সি থেকে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করা হলেই এই সব আংশিক সময়ের শিক্ষকদের বিদ্যালয় থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়। তাই কাজের স্থায়ীকরণের জন্য বারবার তারা সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। এই করোনা পরিস্থিতিতে অনেক বিদ্যালয় তাদের সামান্য বেতনটুকু পর্যন্ত দিচ্ছে না। এই করোনাকালে তারা বাধ্য হয়ে গৃহশিক্ষকতা বন্ধ রেখেছেন। তাই তাদের পক্ষে সংসার চালানো দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে।
এরূপ পরিস্থিতিতে ১৭ ই জুন বিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্যব্যাপী বিভিন্ন জেলার বিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের শিক্ষকগণ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও মাননীয় অর্থমন্ত্রীর নিকট গণ ইমেইল করার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তথা পুরুলিয়া জেলার বাসিন্দা সমির কুমার দেওঘরিয়া জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রীর নিকট বারবার আবেদন করেছি কিন্তু আজ পর্যন্ত আমাদের কোনো সুরাহা হয় নি। এমতাবস্থায় করোনাকালে আমাদের পক্ষে সংসার চালানো দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। তাই এই করোনাকালে আমাদের কাজের স্থায়ীকরণ এবং আপৎকালীন সাহায্য চেয়ে আমরা এই গণ ইমেইল করার কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। যদি আমাদের দাবি না মানা হয় তাহলে পরবর্তী কালে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হব।
No comments:
Post a Comment