Latest Bengali News Portal

Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Thursday, July 8, 2021

ঐতিহ্যবাহী তল্লীগাছ পুনঃসংস্থাপনের জন্য গণস্বাক্ষর

ঐতিহ্যবাহী তল্লীগাছ পুনঃসংস্থাপনের জন্য গণস্বাক্ষর




২০১৮ সালে কোচবিহারের নর নারায়ণ রোডের ধারে ঐতিহ্যবাহী তল্লী বীথিকা কাটার প্রতিবাদে সরব হয়েছিল কোচবিহারের সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠন। অবশেষে বীথিকাটির শেষ রক্ষা হয়েছিল। কিন্তু, চলতি মাসের ৩ জুলাই অনবরত বৃষ্টিপাতের কারণে পুরনো বীথিকাটির চিলারায় ব্যারাকের পূর্বদিকে অবস্থিত একটি তল্লীগাছ পরে যায়। সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনা প্রচার পাওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে গাছটির পুনঃসংস্থাপনের জন্য দাবি তোলে এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি কার্যালয়গুলিতে আবেদনপত্র জমা পরে। 




কোচবিহার আর্কাইভ নামের একটি সংস্থার পক্ষে ৩ জুলাই দেবারুণ চক্রবর্তী একটি গণস্বাক্ষর অভিযান শুরু করেন এবং গাছটির পুনঃসংস্থাপনের ৪ঠা জুলাই জেলা সমাহর্তার কাছে একটি ইমেল মারফত আবেদন জানানো হয়। সংস্থাটির সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে তাঁদের গণস্বাক্ষরপত্রটিতে ১,৬০০ ওপর স্বাক্ষর সংগৃহীত হয়েছে। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে কোচবিহারের রাজকুমারী তথা কোটার মহারাণী উত্তরা দেবী, কোচবিহার রাজপরিবারের দৌহিত্র দেওয়াস জুনিয়র শাখার রাজকুমারী তথা পয়াগপুরের রাজমাতা উদয়া দেবী, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক-স্তরে খ্যাতিসম্পন্ন হেরিটেজ কন্সার্ভেশনিস্ট, উদ্ভিদবিদ, প্রাণীবিদ, পুরাতত্ত্ববিদ, সামাজবিদ, পরিবেশবিদ-সহ ঐতিহ্য ও পরিবেশ-প্রেমীরা রয়েছেন। 


গণস্বাক্ষরটি ৭ জুলাই সংস্থার পক্ষ থেকে জেলা সমাহর্তার দপ্তরে বৈদ্যুতিন মাধ্যমে জমা করা হয়েছে। সংস্থার সম্পাদক জুবাইল ইসলাম তাঁর একটি আবেদনপত্রে পরে যাওয়া তল্লীগাছটি যাতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে পুনঃসংস্থাপন করা হয় তার জন্য বিশেষভাবে আবেদন জানিয়েছেন। এবিষয়ে সংস্থার পক্ষে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে। 


.

প্রায় এক সপ্তাহ অতিক্রান্ত বলে গাছটি যাতে দ্রুততার সাথে পুনঃসংস্থাপন করা হয় সেজন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে জনরব উঠেছে যে মাটির নীচে বৈদ্যুতিক সংযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের সময় অসাবধানতার কারণে গাছের মূল ক্ষতিগ্রস্থ ও মৃত্তিকা ক্ষয়ের জন্যই এরকম ঘটনা ঘটেছে। রাজ রাজেন্দ্র নারায়ণ রোডে আরও একটি গাছ একই ভাবে উপড়ে পরেছে বলে জানা গিয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages