ইউটেরাইন ফাইব্রয়েড ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা- আলোচনায় ডাঃ প্রিয়াঙ্কা মন্ডল
ফাইব্রয়েড নারীদেহের খুব কমন টিউমার।এই রোগের ৫০% ই লক্ষনবিহীন,নীরবে বেড়ে ওঠে।৩৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে এই রোগ হওয়ার প্রবনতা বেশি থাকে।সাধারনত ২০বছরের কম বয়সী মেয়েদের দেহে এর উপস্হিতি কম।
রোগলক্ষন - মহিলাদের দেহে কতগুলি লক্ষণ ফুটে ওঠে ,আবার অনেক সময় লক্ষণগুলি নীরব থাকায় রোগীর বোধগম্য হয় না।
লক্ষণ গুলি হল -
- ঋতুকালীন সময়ে অতিরিক্ত রক্তস্রাব।
- অনিয়মিত রক্তস্রাব
- রক্তস্রাবের সাথে পেটে অস্বাভাবিক ব্যথা
- তলপেটে ব্যথা
- তলপেটে ভারী ভারী বোধ অনুভূত হওয়া
ফাইব্রয়েডের কারনে অকাল গর্ভপাত ,স্হায়ী কিংবা সাময়িক বন্ধ্যাত্ব ও হতে পারে ।অতিরিক্ত রক্তপাতের কারনে অনেক মহিলা রক্তাল্পতা রোগেও ভোগেন ।
পরীক্ষা -নিরীক্ষা(ইনভেসটিগেশন) - বেশিরভাগ ফাইব্রয়েড রোগীর পূর্বের রোগইতিহাস,পেলভিক এক্সামিনেশন করে ধরা পড়ে তবুও নিশ্চিত হওয়ার জন্য আলট্রাসোনোগ্রাফি করা হয় ।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা - হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা হল রোগলক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা । হোমিওপ্যাথিতে রোগীর নিজস্ব লক্ষন দেখে প্রতিটা রোগীর জন্য আলাদা আলাদা ওষুধ নির্বাচন করা হয়।তাই একজন রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক কে দেখিয়ে তবেই হোমিও ওষুধ সেবন করা উচিত ।তবু ও বলে রাখি ,ক্যালকেরিয়া কার্ব , ক্যালি কার্ব,মেডোরিনাম,গ্রাফাইটিস, কোনিয়াম,ফসফরাস ইত্যাদি ওষুধ ব্যবহার করা হয় ।ওষুধের শক্তি ও ডোজ নির্ধারনের জন্য হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত ।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করার পাশাপাশি রক্তাল্পতা ঠিক করার জন্য পথ্য ও জরুরি এবং ওজন বেশি থাকলে তা নিয়ন্ত্রন করা ।সর্বোপরি ওষুধ খাওয়ার সাথে সাথে সুস্হ সুন্দর স্বাস্হ্যসম্মত লাইফস্টাইল মেনে চলা উচিত ।
খুবই ভালো লেগেছে আপনার অভিজ্ঞতা।
ReplyDelete