সংবাদের মূল্য,সাংবাদিকের মূল্য এবং সর্বোপরি খবর কাগজের মূল্য সমাজের কাছে তুলে ধরলেন মধুসূদন জানা
এ এক অন্য ধারার সখ। পেশায় আংশিক সময়ের শিক্ষক মধুসূদন জানা। নেশায় খবরের কাগজ সংগ্রহ, ম্যাজিক দেখানো সাথে গ্রামীন চিকিৎসকের গুরু দায়িত্বও তাঁর।
মধুসূদন বাবু জানান- "একজন সাংবাদিক বহু পরিশ্রম করে খবরের সত্যতা যাচাই করে খবর সংগ্রহ করে।সেটি বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে প্রিন্ট করে পৌঁছে যায় পাঠক পাঠিকাদের হাতে।সকালে সযত্নে গ্রহন করার পর পরেরদিন সকালে পৌঁছে যায় ডাস্টবিনে।এমন কি খবর কাগজ বিছিয়ে বসা,কাঁচ পরিষ্কার,বোতল পরিষ্কার,ঢোঙা,খাওয়ার টেবিলে বিছানো,দেওয়ালে মাড়ানো।বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়।বলা য়ায় যে শিক্ষা সংস্কৃতির মেরুদন্ড হলই খবরের কাগজ। সেই মূল্যহীন কাগজের মধ্যে যে অমূল্য সম্পদ ভরা রয়েছে সেই তথ্য গুলি তুলে ধরতে চেয়েছি জনসমক্ষে।"
খবর কাগজের মধ্যে যে সব তথ্য থাকে তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝা যায় সংরক্ষণের মাধ্যমে। আর তাই এই সংরক্ষণ নিয়ে একটি প্রোজেক্ট তৈরি করেছেন দীর্ঘ ৭বছর ধরে।প্রোজেক্টির নাম দিয়েছেন-"অমূল্য সম্পদে ভরা খবরের কাগজ"।
এই সংরক্ষনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে মধুসূদন বাবু জানিয়েছেন "আমার প্রোজেক্টির মূল উদ্দেশ্য- সংবাদের মূল্য,সাংবাদিকের মূল্য এবং সর্বোপরি খবর কাগজের মূল্য সমাজের কাছে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। বোঝাতে চেয়েছি যে পত্র পত্রিকার ভিতরে কী অসীম ক্ষমতা সম্পন্ন তথ্যচিএ লুকানো থাকে।
তিনি আরও জানান- "আমার প্রোজেক্টে বহু পুরোনো প্রায় ৭০-৮০বছরের খবর কাগজের তথ্যচিত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। ৫২রকমের পত্র পত্রিকার সংবাদ সংগ্রহ করেছি।শুধু তাই নয় ১০ টি ভাষায় পত্র পত্রিকার উপর কাজ করেছি।যে সমস্ত তথ্যচিত্র সংগ্রহ করা হয়েছে তার মধ্যে কয়েকটি হল
১.জওহরলাল নেহেরুর প্রথম পতকা উত্তলোনের তথ্যচিত্র।
২.মহাত্মা গান্ধীর শেষ অনশন ও অসহযোগ আন্দোলনের বৈঠকের তথ্যচিত্র ।
৩.১৮৭৪ সালে কলকাতা দৃশ্যের তথ্যচিত্র।
৪.কলকাতাতে যেদিন প্রথম ট্রাম চলে তার তথ্যচিত্র।
৫.১৯৫০ সালে প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবেসর তথ্যচিত্র।
৬.ক্ষুদিরামের ফাঁসির স্থলের তথ্যচিত্র।
৭.১৯১২ সালে টাইটানিক দৃশ্যের তথ্যচিত্র।
৮.মাদার টেরিজা যেদিন মারা যায় তার তথ্যচিত্র।
৯.প্রথম কার্গিল যুদ্ধ ও প্রথম বিধবা বিবাহের তথ্যচিএ।
১০.১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপ,পুলওয়ামা অ্যাটাক,নোট বাতিল,ভুজের ভূমিকম্প,বুলবুল, আমফান ইত্যাদি।
এই রকমের ৯০০টি প্রমাণ পত্র সংরক্ষণ করছি।B4 সাইজের কাগজের উপর খবর কাগজ মাড়িয়ে ল্যামিনেশান করেছি।
No comments:
Post a Comment