১৫দফা দাবী নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা শাসক কে স্মারকলিপি প্রদান ক্ষৌরকার দের
মধুসূদন রায়, জলপাইগুড়িঃ
১৫দফা দাবী নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা শাসক কে ফের স্মারকলিপি প্রদান করলেন ক্ষৌরকাররা। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের শীল সমন্বয় সমিতির জলপাইগুড়ি জেলার শতাধিক ক্ষৌরকার এই কর্মসূচিতে সামিল হন। এদিন দুপুর ১২ টা নাগাদ জলপাইগুড়ি জেলার ক্ষৌরকাররা একত্রিত হয়ে তাদের অভিযান করেন।
উল্লেখ্য করোনা পরিস্থিতিতে কাজকর্ম হারিয়ে চরম বিপাকে পড়ে ক্ষৌরকাররা। পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা দেখা যায়। সেই সময় অন্যান্যদের সরকারি সহযোগিতা করা হলেও বঞ্চিত থেকে যায় ক্ষৌরকাররা। কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকার পাশে থাকার আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ হয়নি কিছুই। রাজ্য সরকারের তরফে ব্রাক্ষণ ভাতার ব্যবস্থা করা হলেও কোনো ব্যবস্থা হয়নি ক্ষৌরকারদের জন্য। ফলে একপ্রকার সরকারি অসহযোগিতায় পরিবার নিয়ে অনেক কষ্টে করোনা পরিস্থিতিতে দিন কাটাতে হয়েছে তাদের। দীর্ঘ সময় সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকলেও কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকার মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বঞ্চিত ক্ষৌরকারদের থেকে। তাই উত্তরবঙ্গের বঞ্চিত ক্ষৌরকাররা এদিন মাসে ১০ হাজার ভাতা, উত্তরবঙ্গে নাপিত পরিষদ, ঠাকুর পদবীদের ওবিসি করন সহ বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত একাধিক দাবিতে জলপাইগুড়ি জেলা শাসককে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
উত্তরবঙ্গ ক্ষৌরকার শীল সমন্বয় সমিতির জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির ডাকে জেলার বিভিন্ন ব্লকের ক্ষৌরকাররা এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। এদিন শতাধিক ক্ষৌরকার মিছিল করে জলপাইগুড়ি জেলা শাসককে স্মারকলিপি প্রদান করেন ।
তারা জানান, এর আগেও জেলাশাসক কে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন তারা। এবং পর্যটন উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী গৌতম দেবের সাথেও বৈঠক করেছেন। এবং মন্ত্রী গৌতম দেব আশ্বাস দিয়েছেন যে তাদের ৮ই জানুয়ারি সাক্ষাৎ করে ওয়াকিবহাল করবেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের কোন প্রকার খবর দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাদের। এবং আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সরকারিভাবে কোনো সাড়া না পেলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবেন বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষৌরকাররা।
No comments:
Post a Comment