নির্দেশিকা অমান্য, আজও জেলায় জেলায় ভোট কর্মীদের টিফিনে কারচুপি! প্রতিবাদে উত্তাল একাধিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও আজও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ট্রেনিং-এর সময় ভোট কর্মীদের জন্য বরাদ্দ হলো না নির্ধারিত ১৭০ টাকার লাঞ্চ। ভোট কর্মীগণ প্রশ্ন তোলায় বিভিন্ন জায়গায় বাদানুবাদ সৃষ্টি হয়।
কোচবিহার জেলার একাধিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে টিফিনের বরাদ্দ টাকা নিয়ে তৈরি হয় ক্ষোভ। প্রথম ট্রেনিং এ শুধু চা আর জল ছাড়া কিছুই মেলেনি বলে অভিযোগ। দ্বিতীয় ট্রেনিং এও একই অবস্থা থাকায় ভোট কর্মীরা জানতে চান তাদের বরাদ্দ টাকা গেলো কোথায়। রাজ্য নির্বাচন বিভাগের টিফিন বাবাদ বরাদ্দের নির্দেশিকাও দেখান তারা। কিন্তু কোচবিহার জেলায় মাত্র কুড়ি টাকার টিফিনবাক্স তুলে দেওয়া হয় ভোট কর্মীদের হাতে বলে অভিযোগ। ফলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
আলিপুরদুয়ার জেলার ম্যাক্ উইলিয়াম স্কুলে ইলেকশন ট্রেনিংএ ৫০/-টাকার টিফিন প্যাকেট নিয়ে ভোটকর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। শেষমেষ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভ সামাল দিতে এসে টিফিন প্যাকেটে কারচুপির কথা কার্যত মেনে নিয়ে (১৭০-৪০=) বকেয়া ১৩০টাকা ভোটকর্মীদের নিজ নিজ ব্যাঙ্ক অ্যকাউন্টে দিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
মালদা জেলায় প্রশ্ন তোলায় আধিকারিকদের ভোট কর্মীদের অসম্মানজনক উক্তি করেন বলে অভিযোগ। ফলে সেখানেও বাদানুবাদ সৃষ্টি হয়।
একইভাবে মুর্শিদাবাদ সহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ এর চিত্র উঠে আসছে। অনেক জেলায় বেশিরভাগ ট্রেনিং সেন্টারে চা বিস্কুট ছাড়া অন্য কিছু ছিল না।
শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী জানান "আমরা জেলায় আধিকারিকদের এই আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই অস্বচ্ছতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে প্রতিটি ভোট কর্মীর প্রথম ট্রেনিং থেকে বরাদ্দ অর্থ ব্যাংক এ্যাকাউন্টে বরাদ্দ অর্থ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।"
No comments:
Post a Comment