Latest Bengali News Portal

Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Friday, March 26, 2021

ক্যারিয়ার এডভান্সড এডভান্সমেন্ট( CAS) স্কিম নিয়ে হাইকোর্টের রায়- শিক্ষক সংগঠন APGTWA এর বড় জয়

ক্যারিয়ার এডভান্সড এডভান্সমেন্ট (CAS) স্কিম নিয়ে হাইকোর্টের  রায়- শিক্ষক সংগঠন APGTWA এর বড় জয়



সরকারি স্কুল গুলিতে শিক্ষকদের পদোন্নতির সুযোগ থাকলেও সরকার পোষিত স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষিকাদের এই সুযোগ দেওয়ার জন্য শিক্ষক সংগঠন " অল পোস্ট  গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার  অ্যাসোসিয়েশন" মামলা করে। পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারী,যাদের চাকরিতে পদোন্নতির সুযোগ  নেই তারা 8 বছর ,16 বছর এবং 25 বছর চাকরি সম্পন্ন করার পর একটি করে অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট সহ পরবর্তী উচ্চতর স্কেলে উন্নীত হন। এটাকেই বলা হয় CAS. পুরো নাম Career Advancement Scheme । CAS এর সুবিধা চালু থাকায়, সরকারি স্কুলের পিজি টিচারদের আট বছর পর গ্রেড পে বেড়ে 5400 হয়, 16 বছর পর গ্রেড পে বেড়ে 6600 হয়, এবং 25 বছর পর গ্রেট 7600 হয়। 

কিন্তু সরকারী  সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলির পিজি টিচার দের গ্রেড পে পরিবর্তন হয় না 4800 ই থাকে। সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের পাশ গ্রাজুয়েট টিচারদের 18 বছর পর গ্রেড পরিবর্তন হয় (4100 থেকে 4400)কিন্তু পিজি টিচারদের সেটাও হয় না।  এটা না থাকার ফলে একই সাথে সরকারী স্কুলে ও সরকারী সাহায্য প্রাপ্ত স্কুলে কর্মরত দুজন পিজি টিচার এর মধ্যে প্রতি মাসে বেতনের পার্থক্য 15000 টাকা হতে পারে। তাছাড়া সাহায্য প্রাপ্ত স্কুলের পিজি টিচাররা ই একমাত্র কর্মচারী যারা চাকুরী জীবনে 10 বছর ও 20 বছরে একটি করে অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট ছাড়া অন্য কিছু পাননা। সুতরাং, এই কেসের রায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চাকুরির ৮,১৬ ও ২৫ বছর অতিক্রান্ত হলে পরবর্তী উচ্চতর স্কেলে উন্নীত হওয়ার জন্য প্রাপ্য ক্যাস( কেরিয়ার এডভান্সমেন্ট স্কিম) সুবিধার জন্য আজ কেসের রায় দিলো হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর বি শরাফ। শিক্ষা দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে মামলাকারীদের বিষয়টি বারো সপ্তাহের মধ্যে বিবেচনা করে যুক্তিযুক্ত অর্ডার প্রকাশ করার নির্দেশ দেন । 
সংগঠন গত একবছর এই সুযোগের দাবিতে ডেপুটেশনের সাথে আইনি লড়াই চালাচ্ছিলো ।

সংগঠনের সভাপতি রথীন সাঁই বলেন, "কোর্টের রায় বিবেচনা করে স্কুল/মাদ্রাসা শিক্ষকদের জন্য CAS প্রদান বিষয়ে দ্রুত নির্দেশিকা জারী করুক সরকার। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে ১২ সপ্তাহের আগেই নির্দেশিকা জারী করবে সরকার। এই রায়ের পর রাজ্যের হাজার হাজার শিক্ষক এতোদিনের বঞ্চনার অবসান ঘটবে"। 

আইনজীবী সিদ্ধার্থ শংকর মন্ডল বলেন, " সরকার পোষিত স্কুল ও মাদ্রাসাগুলোর অনার্স /পিজি ক্যাটাগরি  শিক্ষক শিক্ষিকাদের বেতন ক্রমের প্রতি সরকারের বৈষম্য মূলক আচরন অনভিপ্রেত । উচ্চ আদালতের রায় অনুসারে শিক্ষা দপ্তর মামলাকারীদের স্বার্থে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুক এবং বৈষম্য দূর হোক"। পিটিশনার  হিসাবে সংগঠনের নেতৃত্ব এটিকে নৈতিক জয় হিসাবে দেখছেন। 

মামলাকারী সংগঠনের সম্পাদক চন্দন গরাই বলেন, " শিক্ষকদের পদোন্নতির সুযোগ চালু করা অত্যন্ত আবশ্যক, কোর্টের রায়ে রাজ্য সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া  উচিত। "

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages