যথাযথ ট্রেনিং ছাড়াই একদিনের নোটিশে ডিউটি! তীব্র ক্ষোভ ভোটকর্মীদের
হঠাৎ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকার কাউকে মেসেজ দিয়ে, কাউকে বা শুধুমাত্র ফোন করে ভোটের ট্রেনিংয়ের জন্য ডাকা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী কোনো চিঠি নেই। আজকেই ট্রেনিং নিয়ে আগামীকাল ডিসিআরসি-তে পৌঁছে যেতে হবে। নির্ধারিত তিনটি ট্রেনিং নিতে হয় একজন প্রিসাইডিং এবং প্রথম পোলিং অফিসারকে। আচমকা এই বার্তায় শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ আতঙ্কিত। যথাযথ ট্রেনিং ছাড়াই একদিনের নোটিশে ডিউটি দেওয়ার অবাস্তব সিদ্ধান্ত তারা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।
এর কারণ নির্বাচন কমিশনের ডেপুটি সিইও বুলান ভট্টাচার্যের কাছে জানতে চাইলে তিনি শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারীকে বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে অনেকে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন তাই অতিরিক্ত ভোট কর্মী প্রয়োজন হচ্ছে। তাই এই সিদ্ধান্ত।
কিংকর বাবু আরও বলেন- "আমাদের প্রশ্ন তার জন্য তো যথেষ্ট পরিমান রিজার্ভে ভোট কর্মী রাখা হয়। তারপরেও কেন এই সমস্যা হবে? তাছাড়া আচমকা একদিনের এই ট্রেনিং কতটা বাস্তব সম্মত?"
শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সম্পাদক মন্ডলীর অন্যতম সদস্য অনামিকা চক্রবর্তী বলেন, ''আমার নিজের ক্ষেত্রে গতকাল সন্ধ্যেবেলা হঠাৎ একটা ফোন আসে। ফোনে জানানো হয় আজ আমাকে ট্রেনিংয়ের জন্য বিধান নগর কলেজ যেতে হবে। এমনকি আজ ট্রেনিং-এর দিন সকাল দশটায় অনেককে ফোন করে এগারোটার মধ্যে ট্রেনিংয়ে ডাকা হয়। আজ আমি কলেজে গিয়ে দেখি আমার মতো বহু সংখ্যক মহিলাকে এইভাবে ডাকা হয়েছে। আমাদের সই করে হাতে হাতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার দিতে চাওয়া হয়। আমরা যখন জানতে পারি একদিনের ট্রেনিং নিয়ে আগামীকাল ডিসিআরসি-তে যেতে হবে পরের দিন ১৭ এপ্রিল ভোট নেওয়ার জন্য তখন আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। আমরা এই খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নিতে পারিনি। ফলে শেষ পর্যন্ত প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা কোনো সই না করে অধিকাংশ মহিলা কর্মী ট্রেনিং না নিয়ে ফিরে এসেছি। বহু ক্ষেত্রে কমিশন যেভাবে অসংগতি এবং খামখেয়ালি পূর্ণ কাজ করে চলেছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।"
No comments:
Post a Comment