সমকালের চোখে ১৯শে মে
- নীতিশ বিশ্বাস
- প্রাক্তন সহকারি রেজিস্ট্রার- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়,
- সম্পাদক- সর্বভারতীয় বাংলা ভাষা মঞ্চ ও ঐকতান গবেষণা পত্রিকা
সাম্প্রতিক কথাঃ করোনার ভয়ানক অকালে সরকারী নির্দেশের মান্যতা দিতে ও সামাজিক(আসলে দৈহিক)দূরত্ব মান্য করার জন্য আমরা গৃহ বন্দী। ১৯৯৫সালের পর এই প্রথম-১৯শে মে, যেদিন আমরা মাতৃভাষা প্রেমীরা বাংলাভাষার অধিকারের দাবিতে পথে নামতে পারলাম না,-কলকাতায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারলাম না। কিন্তু বাংলা ভাষা মঞ্চের পক্ষথেকে আমরা আমাদের সমমর্মী ভাইবোন বন্ধু-বান্ধব দের কাছে আবেদন করছিলাম “ঘরে ঘরে মাতৃভাষা র অধিকারের জন্য শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান”-স্বল্প পরিসরে পালন করার জন্য। নানা্সথানসহ সারা পশ্চিম বঙ্গে সাধ্য মতো তা করাও হচ্ছে।এ উপলক্ষে আমরা সামাজিক গণ-মাধ্যমে আবেদন করেছিলাম “ভারতে বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষার মহান আন্দোলন দিবস ১৯শে মে (১৯৬১)তথা একদিনে ১১জন শহিদের রক্তে রঞ্জিত ১৯শে মে, ঘরে ঘরে উপযুক্ত মর্যাদার সঙ্গে পালন করুন। উত্তর-পূর্ব ভারতের বাংলাভাষী মানুষের প্রাণরক্ষাসহ সারা ভারতে বাংলাভাষা ও বাংলাভাষীর নাগরিক ও মানবিক অধিকার রক্ষার মহান আন্দোলনে সারা দেশের মাতৃভাষা প্রেমী মানুষেরা এগিয়ে আসুন । লক্ষ্যকরুন শাসক শ্রেণি করোনার বিপদের দিনে নানা চক্রান্তে কেড়ে নিচ্ছে আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি আর বাঁচার অধিকার।শ্রমজীবী মানুষের কাজের অধিকার ও চাকুরির নিরাপত্তা পর্যন্ত সেখানে বিদ্ধস্ত । তাই আমাদের আবেদন জেগে থাকুন । ঐক্যবদ্ধ হোন ।সংগঠিত হোন । আন্দোলন করুন ।”
ইতিহাসের কথাঃ আজ আমাদের মতো বাংলাভাষা প্রেমী সংগঠনের নানামুখী প্রয়াসের কারণে আসামে বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষার এ আন্দোলনের প্রসঙ্গে অনেকেই কম বেশি জানেন। তারা জানেন যে দেশ স্বাধীন হবার পরপরই অখন্ডিত আসামের প্রথম মুখ্য মন্ত্রী গোপীনাথ বরদলৈ ঘোষণা করেছিলেন “..আসাম কেবল অসমীয়াদের জন্য”। ১৯শে অক্টোবর ১৯৪৭, শিলংটাইমসে এটি বাণী প্রকাশিত হল।অনসমিয়া মানুষ অতঙ্কিত হলেন । তার কয়েক দিন পর,৫ই নভেম্বের১৯৪৭-এ রাজধানী শিলঙে অনুষ্ঠিত বিধান সভার প্রথম অধিবেশনে কংগ্রেস সরকারে তৈরি করা বয়ানে “রাজ্যপাল আকবর হায়দরির মুখ দিয়ে একটি বিদ্বেষ পূর্ণ প্রকল্প ঘোষিত হয়েছিল,…তিনি বলেছিলেন , “বাঙালি এখন হীনবীর্য এরা ইচ্ছে করলেও আর সমতল এবং পাহাড়ে নিজেদের আধিত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না… ” বাঙালি কে আগন্তুক বলে উল্লেখ করে বলা হয় ,বাঙালি অসমিয়া দের প্রতি তাদের আনুগত্যের বিনিময়ে আসামে তারা সুব্যবহার পেতে পারে। এই সরকারী বিদ্বষই সাধারণ মানুষের মধ্যে এক অতি উগ্র জাত্যভিমান সৃষ্টি হতে সাহায্য করে।যা বছরে বছরে দাঙ্গা (কখনও বাঙালি-অসমিয়া অথবা হিন্দু-মুসলমানে সে পরিকল্পিত দাঙ্গা ); আর অবশেষে ১৯৬০ সালের ২৪শে অক্টোবর কেবলমাত্র অসমিয়া ভাষাকেই প্রশাসন ও শিক্ষার মাধ্যম হিসবে বিল পেশ হয়। কমিঊনিষ্টরা ওয়াক আউট করলেও বিল পাশ হয়ে যায়।বিমলা প্রসাদ চাহিলা সরকারের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বাঙালি ও অন্য অনসমিয়া মানুষেরা রাজ্যে১৯শে মে বনধের ডাক দেয়। ১৮ তারিখেও চলছিলো সংগ্রাম পরিষদের ডাকে লাগাতার চলছিল প্রচার আর ১৯শের সত্যাগ্রহের জন্য সেচ্ছাসেবী গ্রহণের কাজ। সেই উনিশের জন-হরতাল গোটা বরাক অঞ্চলে নানা স্থানে প্রতিরোধ সহ নানা আন্দোলন সংগঠিত হয়। তার আগের রাতেই কমিউনিস্ট নেতারা এরেস্ট হয়ে যান। হাইলাকান্দী,করিমগঞ্জ সহ সর্বত্র ব্যাপক জন প্লাবন। শিলচর স্টেশানে সকাল ৬টা থেকেই শুরু হয় রেল অবরোধ । এখানেই সেদিন ১১জন শহিদ হন। তবে হাইলাকান্দী ও করিম গঞ্জেও আরো শহিদ হতে পারতেন ।
সেকথা এখন থাক তার আগে যাদ্বের প্রাণের বিনিময়ে আসামে দ্বিতীয় রাজ্য ভাষার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায় বাংলা ভাষা, বিজয়ের সেই মহান দেশপ্রেমিকদের সঙ্গে আসুন একটু পরিচয় করি । প্রথমেই বিশ্বর ভাষা আন্দোলনের প্রথম নারী শহিদ কুমারী কমলা ভট্টাচার্য ।
১। মাত্র ১৬বছর বয়সের কমলা ভট্টাচার্য খুবই দরিদ্র উদ্বাস্তু পরিবারের মেয়ে । তার মাত্র দুদিন আগেই তার মেট্রিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে ।শিক্ষিকাদের প্রেরণায় এই আন্দোলনে অংশ নেন।পুলিশের গুলি চোখদিয়ে ঢুকে মাথার খুলি ভেদকরে চলেযায়।সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু।
২। আর এক ২০ বছরে ছাত্র শচীন্দ্রনাথ পাল রাইফেলের সামনে জামার বোতাম খুলে দিয়ে টান হয়ে দাঁড়ান। গুলিতে তার বক্ষ বিদীর্ণ হয়ে যায়। অত্যন্ত সাহসী এই তরুণ কে তার পরিবার অভিষেক করে সত্যাগ্রহে যোগ দিতে পাঠিয়েছিলেন ।
৩।৩য় শহিদ হলেন ১৫ বছরের ছাত্র ও সামান্য স্টেশনারী দোকানের মালিক সুনীল কুমার সরকার।মহৎ জীবনী পাঠের মাধ্যমে মেধাবী এই দরিদ্র ছাত্রের মনে আগেথেকেই জন্মেছিলো দেশপ্রেমের অনুরাগ আর মাতৃভাষা প্রেমের উত্তাপে সে আগুণ দাউ দাউ করে জ্বলে উঠলে তিনিও যোগ দেন এই মহাযজ্ঞে আত্মাহূতি দিতে।
৪।বীরেন্দ্র সূত্রধরঃ দাংগার আগুণে পুড়ে পাকিস্তান থেকে এসে জীবিকার টানে চলে যান আইজলে।সেখানেও নানা বৈষম্য আর অবিচার ।১৮ তারিখে ফিরে আসেন বরাকে ।তার পরদিনই যোগদেন সত্যাগ্রহে।দুপুরের মধ্যে গুলিতে বুক-পেটবিদ্ধ হয়ে প্রাণ দেন। ঘরে তার একবছরের সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে ।
৫। এগারো শহিদের ৫ম নামটি হল কানাই লাল নিয়োগী। রেলবিভাগের কর্মী ও বাম পন্থী ইউনিয়নের স্থানীয় নেতা ।প্রতিবেশী ও নিজের পরিবারের লোকেদেরও নিয়ে আসেন সত্যাগ্রহে। একসময়ে উনি কি অবস্থা যান দেখতে, হটাৎ গুলি। সেখানেই প্রাণদান।
৬। সুকমল পুরাকায়স্থঃ সাহসী,পরোপকারী আর ভয়ানক দরিদ্র ।পড়া চালাতে না পেরে ডিব্রুগড়ে দোকান দেন । একটু থিতু হলে বঙ্গাল খেদার নিপীড়নে ১৮ই মে আসেন শিলচরে।সেদিনও বরাক বনধ। ১৯শের সূর্যোদয়ের আগেই যান স্টেশানে।বুক আগলে পড়ে থাকেন রেললাইনের উপরে। গুলিতে এফোঁড় ওফোঁড়।এবং হাসপাতেলে প্রাণ শেষ।
৭। চন্ডী চরণ সূত্রধরঃ ইনিও দেশভাগের যন্ত্রণা নিয়ে দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করতে বয়ণ শিল্পে কাজ নেন। দেশের অবস্থা বুঝতেন ।তাই এই আন্দোলনের প্রচারক হয়ে ওঠেন । আগেই কাঁদুনে গ্যসে মুখ ঝলশে যায়, প্রাণ যায় ২টো ৩৫ নাগাদ পুলিশের গুলিতে।
৮। সত্যেন্দ্র দেবঃ অবিবাহিত এই দেশপ্রেমিক যুবক বুঝেছিলেন ধর্মের কারণে ছাড়তে হয়েছে মাতৃভূমি, এবার মাতৃভাষাও ছাড়তে হবে বিনাকারণে । সংগ্রাম পরিষদের অফিসে গিয়ে কার্ড সংগ্রহ করলেন ,পুলিশের লাঠি রক্তাক্ত করল, তবুও অনড়।পরে আগুণ লাগলে পুকুর থেকে কচুরি পানা এনে নিবাতে চেষ্টা করেন ।এ সময় গুলির শব্দ শুনে জলে ডুব দিয়ে ছিলেন। মাথা তুলতেই গুলি । পরদিন ভোরে লাশ ভেসে ওঠে পুকুরের জলে ।
৯। হীতেশ বিশ্বাসঃ উদ্বাস্তু জীবনের ঘূর্ণাবর্তে ত্রিপুরা হয়ে শিলচর।কাপড়ের দোকানে কাজ জুটলো।দরদী এই সর্বহারার কাছে ভাষা সত্যাগ্রহের ডাক এলে যোগ দেন নিজের দিদিকে নিয়ে । গুলিতে ঝাঁঝরা করেদেয় তাকে।প্রাণ দেন । দিদিও আহত হন।
১০। কুমুদ রঞ্জন দাসঃ শৈশবে মাতৃহারা কুমুদরঞ্জন মামার চায়ের দোকানে সহকারী। মামীর স্নেহের কুমুদ মামার অসুস্থায় দোকান চালান।আন্দোলনের ডাক এলে মামীর কাছে শপথ নেন, ক্ষুদিরামের মতো ফাঁসী নেবার ।সি আর পি ও আসাম পুলিসের গুলি বুক মাথা ভেদকরে গেল। শহিদ হলেন কুমুদরঞ্জন।
১১।,তরণী দেবনাথঃ স্কুল শিক্ষার পরেই তাঁতের কাজ আর প্রেসের কাজ শেখেন।বাঙিরখাড়ি বয়ন সমিতির সম্পাদকও হয়েছিলেন ।১৯৬০এর বঙাল খেদার অভিশাপে প্রাণ জ্বলছে । ১৮ই থেকেই রাতের ডিউটি পড়ে। ১৯শে প্রথম পর্বে লাঠিতে প্রচন্ড আহত হয়েও লেগে ছিলেন তরিণী। দ্বিতীয় পর্বে ভয়ানক গুলি বর্ষণ প্রাণ নিল তরণী দেবনাথের ।
এর পরেও শহিদ হন
১২।১৯৭২ সালের ১৭ই আগষ্ট, যুব ফেডারেশনের নেতা বিজন চক্রবর্তী (বাচ্চু)।
১৩-১৪। ব্রহ্মপুত্র ভাষা দাঙ্গায় প্রাণ দেন ডাঃ মনীষী দাস ও দিব্যেন্দু দাস(যীশু)।
আমি এদের নাম ও সংক্ষিপ্ত পরিচয় একারণে উপস্থিত করছি যে এখানে ভাষাপ্রেমের যে একটা প্রবাহের সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে পরিবার পরিজনেরাও যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন । এর পেছনে ছিলো আসামের বাঙালি বিদ্বেষ । যা এমন পর্যায়ে উপনীত হয়েছিলো যে তার থেকে মুক্তির জন্য নিজের মুখের ভাষা হারানোর ভয়ে সাধারণ মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবার গুলি সার্বিক ভাবে আন্দোলিত হয়ে ছিলো।
উপসংহারঃ এ প্রসঙ্গে আর একটু আগের কথা সংক্ষেপে বলা উচিত । কয়েক বছর বিশেষ করে আসামে বিজেপি শাসন ক্ষমতায় এসে যে ভয়ানক এক আগ্রাসী পরিবেশ সৃষ্টি করেছে তাকে হিটলারের ইহুদি বিদ্বেষ সঙ্গেই কেবল তুলনা করা যায়। এর ফলে তাদের গত চার দশকের দক্ষিণ পন্থী চক্রান্ত ফলবতী হতে শুরু করেছে। ২০১৭র ৩১শে ডিসেম্বর প্রকাশ করে এন আর সি- নামক পুরনো চক্রান্তের বিষ ফল । ১৯৮৫র রাজীব গান্ধি যুক্তির নাম করে ও তার নানা অপব্যাখ্যা করে প্রশাসন থেকে বিচার ব্যবস্থাকে শিখন্ডি সামনে বসিয়ে আসাম সহ সারা উত্তর পূর্ব ভারতে (যে রাজ্য গুলি মূলতঃ ছিলো আসামেরই অংশ ) বাঙালি নিধন যজ্ঞ শুরু করে দিয়েছে । সাম্রাজ্য বাদীদের জাতি সত্তার রাজনীতির ভয়ানক নাগপাশে আজ ভারতের বাঙালি উদ্বস্তু ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। তবে ধর্মকে আপাত ভাবে সামনে আনলেও এদের মুখ্য বর্শাফলক কিন্তু বাংলা ভাষী ( হিন্দু ও মুসলীম) দের প্রতি। আর তাদের ভাষার শক্তি হরণের মাধ্যমে তারা হরণ করছে বাঙালির অর্থনীতি, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতা। নতুন বিশ্বে রাজনীতির যা আবর্ত তাতে কোন দিকথেকে কোন আক্রমণ আসবে তা কিন্তু পুরনো অঙ্কে মেলানো কঠিন।তাই করোনার কালেও আমরা দেখছি ভয়ানক অর্থনৈতিক আক্রমণ ও আগ্রাসন।
ভারতের মতো ফেডারেল স্টেটে বাংলা ও বাঙালিকে তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি হীন করে দিতে পারলে নবজাগরণ বাংলা, রবীন্দ্রনাথ , জগদীশ চন্দ্র-প্রফুল্লচন্দ্র –রবীন্দ্র নাথ –বিবেকানন্দ- সুভাষ চন্দ্রের বাংলা আর প্রগতি চিন্তার সিংহদুয়ারে দাঁড়ানো বাঙালি জাতিকে কাঙালি করে দিতে আর কত দিন লাগবে? এই চিন্তায় আজ ২০টি রাজ্যে নির্বাসিত ( কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ চক্রান্তে ) বাংলা ভাষীদের জোর করে অসংবিধানিক ভাবে তাদের মাতৃভাষা হীন করার হীন ষড়যন্ত্র চলছে। করোনার এই বিশ্বগ্রাসী আবহাওয়ায় আগে যারা শক্তি হীন ছিলেন তারাইতো আক্রান্ত হবেন সবচেয়ে বেশী। আজ তাই বাংলা ভাষা আন্দোলনের এই পুণ্যদিনে মাতৃভাষা রক্ষা ও প্রসারের তথা ভাষা গণতন্ত্রের কোন পতাকাই কোথাও উড়তে দেখা যাচ্ছে না ।১৯শের মহান শহিদদের পায়ের কাছে মাথারেখে এই আমাদের আত্ম সমালোচনা ও এর থেকে মোচনের পথ সন্ধানের জন্য চাই শপথ উচ্চারণ।
সময়ের দাবিঃ মহান উনিশে মে-কে স্মরণকরতে গিয়ে প্রাসঙ্গিক একটা কথা উল্লেখ করতে চাই, সেহল, একসময়ে মিশরের ভাষা ছিল কপটিক্(Coptic)।আরব যখন মিশর দখল করে তখন তারা মিশরীয়দের পদানত করার জন্য স্থানীয়দের মাতৃভাষার উপর অবরোধ তৈরি করে।অবশেষে মিশরীয়রা আরবিয়ান হয়ে যান । আমাদের আশংকা ভারতে নানা রাজ্যে বাংলা ভাষীদের অবস্থা অদূর ভবিষ্যতে এইরকম হয়ে যাবে, যদিনা সংবিধানের নির্দেশানুসারে প্রাপ্য তার অধিকার রক্ষা করা যায়।যদি না সারা ভারতে অধিকাংশ রাজ্যের মতো স্ব স্ব রাজ্যের প্রধান ভাষাকে আবশ্যিক ভাবে স্কুল শিক্ষা, প্রশাসন তথা জীবনের সর্বত্র কাজের ভাষা না করা যায়।।
Besh valo
ReplyDeleteএমন তথ্য তরুণদের উদ্বুদ্ধ করবে।
ReplyDelete