Latest Bengali News Portal

Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Saturday, June 5, 2021

মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে বাস্তুশাস্ত্র , বাস্তুতন্ত্র এবং পরিবেশ ভাবনা




মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে বাস্তুশাস্ত্র , বাস্তুতন্ত্র এবং পরিবেশ ভাবনা

- সম্রাট দাস

সবুজমাঠের বুকে ক্লান্ত শরীর এলিয়ে দেবার জায়গাটাও চুরি হয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন । ব্যাঙের ছাতার মতন ফ্ল্যাট-বাড়ি গজিয়ে উঠছে যেখানে সেখানে । ইট, কাঠ , পাথরে গ্রামের সবুজ মাঠ ঢেকে ফেলছি ।অপরিকল্পিত ব্যবস্থায় নদীর নাব্যতা হারিয়ে যাচ্ছে । এই পরিকল্পনার অভাবের ফলেই ধ্বসে পড়ছে ইমারত । শুধু ইমারত ভেঙ্গে পড়া নয় – মানুষ যত প্রকৃতির সান্নিধ্য থেকে দূরে যেতে চাইছে ততই তার মনের কোমল বৃত্তি গুলিও শেষ হয়ে যাচ্ছে – হিংস্র হয়ে উঠছে সে । প্রকৃতির প্রতি মানুষের নিদারুণ অবহেলা,অপরিকল্পিত বাসস্থান নির্মাণে একদিকে যেমন ‘ইকসিস্টেম’ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে- তেমনি তার বিরুপ প্রভাব নেমে আসছে সমগ্র দেশের উপর – সমগ্র বিশ্বের উপর । অথচ আমাদের দেশ এই ভারতবর্ষেই এমন একটা সময় ছিলও যখন জনবসতি ছিলও কম আর তার আনুপাতিক হারে বাসভুমির পরিমান ছিলও বেশি । ফলে সহজ,সরল,সুন্দর দূষণ মুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যেই সেই সময়কার জীবকুল জীবন যাপন করত। কিন্তু বর্তমানে ক্রমবর্ধমান বিপুল জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বাস্তুজমির উপর পড়ছে প্রবল চাপ। বর্তমান সময়ের এই প্রেক্ষাপটেই মধ্যযুগের বিভিন্ন বাংলা সাহিত্য থেকে দেখে নেবো সেই সময়কার বাস্তুশাস্ত্র , বাস্তুতন্ত্র এবং পরিবেশ ভাবনার কথা ।


প্রথমেই আসি কবি মালাধর বসুর ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’ কাব্যের ‘দ্বারকা নির্মাণ’ অংশের কথায় । জরাসন্ধের আক্রমন থেকে বাঁচার জন্য সমুদ্রের তীরে কৃষ্ণ ও বলরাম দ্বারকার নির্মাণ করার জন্য বাস্তুকার বিশ্বকর্মাকে দ্বায়িত্ব দেন । এখানে দেখি বিশ্বকর্মা অলংঘিত প্রাচীর বা গড় স্থাপন করলেন এবং গড়ের বাইরের দিকে পরিখা কাটলেন –জাতে সহজেই বহিঃশত্রুর আক্রমন না ঘটে । সেই সাথে এই নব নির্মিত পুরীতে – ‘চতুঃসালা চতুস্পথ কইল ঠাঞী ঠাঞী ।’ –হরপ্পায় এমন নগর সভ্যতার নিদর্শন আমরা পেয়েছি ।তবে মালাধর বসুর ভাবনায় গড়েউঠা এই নির্মাণ আধুনিক বাস্তুকারদের কী একটুকু ভাবায় না ?


মুকুন্দের চণ্ডীমঙ্গল কাব্যে ‘কালকেতুর নগর পত্তন’ অংশেও দেখি নগর স্থাপনের এক চিত্র –

‘মঘর তবলা ভালুকা বাঁশ
মুড়া উপাড়িয়া করে বিনাশ ।’

- তবে এই থেকে যদি ভাবা যায় প্রকৃতি পরিবেশ সম্পর্কে কোনও সচেতনতা ছিল না তাহলে আমরা ভুল করবো ।কারন শুধু অরন্য ধ্বংস নয়,আমরা দেখি –

‘হেঠ করি কণ্ঠ রাখিল নারঙ্গ ।
কাঁঠাল কদলী রাখিল গুয়া ।
অশ্বত্থ রাখিল মূল বান্ধিয়া ।
রাখিল রুদ্রাক্ষ জাইফল লবঙ্গ ।
তাল নারিকেল নগরের শোভা । ।
* * * * * * * * * ।
মহাতরু রাখিল জন-বিশ্রাম ।’

- একদিকে নগরের শোভা বর্ধনের জন্য নারকেল, তাল গাছ অন্যদিকে জন বিশ্রামের জন্য মহাতরু গাছের স্থাপন এতো নিঃসন্দেহে আধুনিক নগর সভ্যতার বাস্তুকারদেরকেও ভাবিয়ে তুলবে । তাল তরুর মতো উচ্চ প্রাচীরে ঘেরা কালকেতুর এই নগরে আমরা লক্ষ্য করি –

‘পুরির ভিতরে রচে চারু চতুঃশালা ।
বান্ধিল ঘড়ের পিড়া তথি দিয়া শিলা ।’

- এছাড়াও প্রাকৃতিক পরিবেশকে মনোরম রাখার জন্য এবং পানীয় জলের জন্য অন্তঃপুরে সরোবর নির্মাণ করতে দেখি ।-



‘বাম ভাগে দুর্গা মেলা তারপাশে নাট শালা
সিংহ দ্বার পূর্বে জলাশয় ।

* * * * * * *

অযোধ্যা সমানপুরী বিশাই নির্মাণ করি
পূর দ্বারে রচিল কপাট ।’

-একদিকে যেমন নাগরিকদের জীবনের উন্নত পরিসেবা দিতে সহায়ক হয়ে উঠেছে এই নগর তেমনি অন্যদিকে নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য এই কপাট নির্মাণ এর ভাবনা সত্যিই প্রশংসনীয় ।

বিশ্বকর্মার দ্বারা লোহার বাসর ঘর তৈরির একটা সুন্দর চিত্র আমরা কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের মনসামঙ্গলে পাই –

‘নানা অস্ত্র সঙ্গে আছে লৌহ কাটে লৌহ চাঁচে
লোহার বাসরঘর গড়ে ।
লোহার বাঁধিল পাড়ি বন্ধন করিল সিঁড়ি
লোহার দেওয়াল চারিভিতে ।’

- এমনকি লোহা দিয়ে চাল এবং কাঁচা লোহা দিয়ে মেঝেও তৈরি করলো । লক্ষণীয় বিষয় ,যেহেতু বাসরঘরটি লোহাদিয়ে তৈরি তাই শ্বাস-বায়ুর অভাব ঘটতে পারে বলেই ঘরটিকে যথাসম্ভব উঁচু করে তৈরি করলো এবং সেই সাথে লোহার দেওয়াল জুরে ‘কুলঙ্গি’ কাটলো।এছাড়া লোহার কপাট ও খিল যুক্ত দরজা তৈরি করলো এবং সেই দরজাকে শক্ত করে গড়ে তোলার জন্য-

‘করিয়া লোহার কপাট দিল চারি চৌকাঠ
বজ্রসম গঠন বিরাজ ।’

-এই ধরনের নির্মাণ পদ্ধতি কি সেই সময়ের প্রেক্ষিতে আমাদের অবাক করে দেয়না ?

এবার আসি কবি ভারতচন্দ্রের ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্য প্রসঙ্গে । একদিকে পুরি নির্মাণ আর অপরদিকে সেই পুরিকে ঘিরে মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে তোলার যে পরিচয় আমরা পাই তা এককথায় অনবদ্য এবং বিস্ময়কর ।স্থপতি শিল্পী বিশ্বকর্মা উঁচু প্রাচীর দিয়ে ঘেরা দেবী অন্নপূর্ণার জন্য নির্মিত এই পুরির সামনে এক মনোহর সরোবর স্থাপন করলেন এবং সেই সাথে সুন্দর ঘাট । এই সরোবর একদিকে যেমন পুরির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে অপরদিকে আবার তা পানীয় জলের আধার হিসাবেও ব্যবহার করা হয় । এখানেই শেষ নয়- সরোবরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে –

‘গরিল স্ফটিক দিয়া রাজহংসগণ ।।
প্রবালে গড়িল ঠোঁট সুরঙ্গ চরণ ।
সূর্যকান্ত মনি দিয়া গড়িল উৎপল ।।
নীলমণি দিয়া গড়ে মধুকর পাঁতি ।
নানা পক্ষী জলচর গড়ে নানা ভাতি।’

- ডাহুকা-ডাহুকী, খঞ্জনি-খঞ্জন, সারসা- সারসী ,বক- বকী , তিত্তিরী-তিত্তিরা,পানিকাক-পানিকাকই,কুরল-কুরলী,চক্রবাক-চক্রবাকই,কাঁদাখোচা,কঙ্ক,মতস্যরঙ্ক প্রভৃতি পাখি যারা জলের উপর নির্ভরশীল তাদের আনা হয় এবং সেই সাথে সরোবরের জিববৈচিত্র টিকিয়ে রাখার জন্য নানান প্রজাতির মাছেরও আমদানি করা হয় । যেমন-

‘চীতল ভেকুট কই কাতলা মৃগাল ।
বানি লাটা গড়ুই উলকা শউল শাল ।।
পাকাল খয়রা চেলা তেচক্ষা এলেঙ্গা ।
.............................................
শিঙ্গী ময়া পাবদা বোয়ালি ডানিকোনা ।
চিঙড়ী টেঙ্গরা পুঁটি চান্দাগুড়া সোনা ।।
গাঙ্গ দাড়া ভেদ চেঙ্গ কুড়িশা খলিশা ।’

-প্রভৃতি আরও নানান ধরনের মাছের সন্ধান আমরা পাই । অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে ভারতচন্দ্র শুধু সরোবর স্থাপন করেই ক্ষান্ত হননি –জীব বৈচিত্র্যের তথা বাস্তুতন্ত্রের উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন ।সরোবরের চারপাশে উদ্দ্যান নির্মাণ করতে দেখি । সেখানে নানা জাতের গাছ যেমন ছিলও তেমনি অনেক ধরনের ফুলের গাছও লাগান হয়েছে । যেমন –

‘অশোক কিংশুক চাঁপা পূন্নাগ কেশর ।
করবীর গন্ধরাজ বকুল টগর ।।
শেহলী পীয়লী দোনা পারুল রঙ্গন ।
মালতী মাধবীলতা মল্লিকা কাঞ্চন ।।
জবা জূতী জাতী চন্দ্রমল্লিকা মোহন ।
চন্দ্রমনি সূর্যমনি অতি সুশোভন ।।
কনকচম্পক ভূমিচম্পক কেতকী ।
চন্দ্রমুখী সূর্যমুখী অতসী ধাতকী ।।
কদম্ব বাকস বক কৃষ্ণকেলি কুন্দ ।
পারিজাত মধুমল্লী ঝিটি মুচকুন্দ ।।’’

--প্রভৃতি নানান জাতের ফুলের পাশাপাশি অনেক ধরনের ফুলের গাছেরও পরিচয় আমরা পাই । আম ,জাম , নারিকেল , জামীর , কাঠাল , খাজুর , গুবাক , তেতুল , তাল,আমলকি,হরিতকী, প্রভৃতি আরও নানান ধরনের গাছ যেমন ফুল-ফলের দ্বারা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে আবার এই গাছের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে অনেক ধরনের পাখি আনা হয় । যেমন-

‘ময়না শালিক টিয়া তোতা কাকাতুয়া ।
চাতক চকর পুরী তুরী রাঙ্গাচুয়া ।।
ময়ুর ময়ুরী সারী শুক আদিখগ ।
কোকিল কোকিলা আদি রসাল বিহগ ।।’

-এছাড়া শকুন , হাড়গিলা , শঙ্খচিল , হরিতাল , বাবুই , বাদুড় , চড়ুই ,টুনটুনি প্রভৃতি পাখির সমাহার লক্ষ্য করি । বনের শোভা বৃদ্ধির জন্যই শুধু নয়-ভারতচন্দ্র বাস্তুতন্ত্রের দিকেও সজাগ দৃষ্টি রেখেছিলেন বলেই –ভীমরুল , মশা , বাঘ , গণ্ডার , উট , মহিশ , হরিন,বানর, ভালুক, গরু,ছাগল,বরাহ,কুক্কুর,খেকশিয়াল প্রভৃতির আমদানি তিনি যেমন করেছেন তেমনি-

‘কেউটে খরিশ কালী গোখুরা ময়াল ।
বোড়াচিতি শঙ্খচূড় সূচে ব্রহ্মজাল ।।’

--প্রভৃতি অনেক ভুজঙ্গ বা সাপের আমদানিও তিনি করেছেন ।সব মিলিয়ে ভারতচন্দ্র একটা সম্পূর্ণ জীব বৈচিত্র্যের চিত্রই এখানে তুলে ধরে তার অনন্য সাধারন পরিবেশ সচেতনতার পরিচয় দিয়েছেন । আর তাইতো দেখি ‘বর্ধমান’ এই ধরনের বাস্তুবিদ্যার উপর এবং পরিবেশ সচেতন জ্ঞান নিয়ে গড়ে উঠার ফলে ‘কামনার মোক্ষধাম’ হয়ে উঠেছে- নজর কেড়ে নিয়েছে স্বয়ং ভগবান কামদেবেরও ।আসলে এই ধরনের পরিকল্পিত নগর যেকোনো হৃদয়বান মানুষের হৃদয়কেই প্রভাবিত করতে বাধ্য ।তবে একটা কথা না বললেই নয় যে প্রকৃতির প্রতি অসম্ভব ভালবাসা না থাকলে – প্রকৃতিকে ভালোভাবে না জানলে এ ধরনের পরিকল্পনা করা এক কথায় অসম্ভব ।

এই ভাবে মধ্যযুগের কাব্য সাহিত্যে শুধু আমরা জীবজন্তুর পরিচয় পাইনা সেই সাথে জীববিজ্ঞানীরা যে খাদ্যশৃঙ্খলের কথা বলেন- যার মধ্য দিয়ে বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষিত হয়,সেই খাদ্য শৃঙ্খলের এক সুন্দর চিত্র আমরা পেয়ে যাই নাথ পন্থিদের মহাকাব্য ‘গোপীচন্দ্রের গান’-এ ।যখন ময়নামতি তার স্বামীর প্রাণ ফিরিয়ে নেবার জন্য গোদা যমের কাছে আসে তখন গোদা যম ময়নামতির ভয়ে –

‘ইন্দুর হৈয়া গোদা যম খালতে সোন্দাইল ।’
তাই ময়নামতিও ইঁদুর ধরবার জন্য বিড়াল এর রুপ নিলো –
‘লক্ষ গোণ্ডা বার বিলাই হৈল কায়া বদলিয়া ।
এক এক করি খালের ইঁদুর খায়ছে গিলিয়া ।।’

--তারপর গোদা যম ‘কইতর হৈয়া’ স্বর্গের দিকে উড়ে গেলে ময়নামতিও ‘হাড়িয়া বাজ হৈল’। এই ভাবে একের পর এক রুপ পরিবর্তনের চিত্র আমরা দেখতে পাই- যেখানে খাদ্য ও খাদকের বিষয়টিই মুখ্য হয়ে উঠেছে । নিচে একটা তালিকা দেওয়া হল-

খাদ্য খাদক
(গোদা যম) (ময়নামতি)
সর্ষা ঘুঘু
পুঁটিমাছ জটিয়া বক
টোরাগাছি মাছ পানিকৌড়ী
সরাপচা শরীর মাছি



-এই ভাবে মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ধারার কাব্য থেকে দেখাতে চেষ্টা করলাম সেই সময়কার কবিদের বাস্তুশাস্ত্র, বাস্তুতন্ত্র এবং পরিবেশ বিষয়ে ভাবনা চিন্তার বিষয়টিকে । যার মধ্য থেকে একদিকে পেলাম বাস্তুশাস্ত্র বিষয়ে কবিদের চিন্তা ভাবনার কথা, পেলাম প্রকৃতি -পরিবেশের প্রতি গভীর ভালোবাসার চিত্র এবং সেই সাথে একটা সহজ-সুন্দর বাস্তুতন্ত্র গড়ে তোলার অসাধারন প্রয়াস । তবে মনে রাখতে হবে বর্তমানে আমরা ‘বাস্তুতন্ত্র’ ‘বাস্তুশাস্ত্র’ এবং ‘পরিবেশ ভাবনা’ এই শব্দ গুলো যে অর্থে ব্যবহার করছি মধ্যযুগের সাহিত্যের কবিদের তা শোনা সম্ভব নয়-কারন শব্দ গুলো আধুনিক । কিন্তু মূল বিষয়টি তখনও ছিলও,আজকেও আছে । শুধু পরিবর্তন ঘটেছে ‘সচেতনতার’- পরিবর্তন ঘটেছে ‘ভালোবাসার’ । তখন মানুষ উদ্দেশ্যহীন ভাবে প্রকৃতিকে ভালবেসেছে-প্রকৃতির দ্বারা লালিত পালিত হয়েছে । তাদের সমস্ত শিক্ষাই যেনও প্রকৃতির কাছ থেকে পাওয়া । যা আমরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষেরা অবহেলা করে দূরে ঠেলে সরিয়ে দিয়েছি- প্রকৃতিকে জানবার মতন সময়ই আমাদের হাতে নেই যেনও । এই সময়ের অভাবেই হয়তো এমন সব অপরিকল্পিত বাসস্থান, বিভিন্ন আবাসন গড়ে তুলেছি যেখানে একটু সবুজের ছোঁয়া নেই- নেই মুক্ত সরোবরের ক্ষুদ্র সস্করনও। আর যাও বা জলা ভূমি আছে বা ছিলও তাও তো ‘পুকুর চুরি’র আওতায় ।

একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে সঠিক পদ্ধতিতে বাস্তু নির্মাণের দ্বারাই বাস্তুতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব – সেই সাথে সম্ভব প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্যকে বজায় রাখা । যার নিদর্শন রেখে গেছেন আমাদের আলোচ্য মধ্যযুগের এই সমস্ত কবিরা তাদের কাব্যে । তাই মধ্যযুগের এই সমস্ত কাব্য – কাহিনির গুরুত্ব শুধু সাহিত্যের ক্ষেত্রেই নয় জীবনের ক্ষেত্রে, সমাজের ক্ষেত্রে তথা এই বিশ্বের ক্ষেত্রেও যে কতটা অনস্বীকার্য তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।




O গ্রন্থ ঋণ

১। শ্রীকৃষ্ণ বিজয় , মালাধর বসু, সম্পাদনা- অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য এবং সুমঙ্গল রাণা –রত্নাবলী প্রকাশনী, জানুয়ারি ২০০৩ ।
২। কবিকঙ্কণ চণ্ডী , সম্পাদনা- ডঃ ক্ষুদিরাম দাস , দে’জ নব সংস্করণ ।
৩। কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের মনসামঙ্গল , সংকলন ও সম্পাদনা-শ্রী বিজনবিহারী ভট্টাচার্য , সাহিত্য অকাদেমি – ষষ্ঠ মুদ্রণ ২০০৫
৪। অন্নদামঙ্গল কবি ও কাব্য , সম্পাদনা – আশীষ ঘোষ , প্রজ্ঞা বিকাশ- পুনর্মুদ্রণ ২০০৮
৫। বাস্তুশিল্প , নারায়ণ সান্যাল, দেজ পাবলিশিং, ডিসেম্বর ১৯৯৪
৬। জীবন বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন বিদ্যালয় পাঠ্য বই ও এছাড়া বিভিন্ন ছোট পত্রিকা এবং বিভিন্ন ওয়েব সাইট ।


2 comments:

  1. বাঃ সুন্দর! আরও লেখো এইরকম লেখা

    ReplyDelete

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages