হাসপাতালে কোভিড বিধি লঙ্ঘনের ছবি, ফের বিতর্কে মুখে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল
ধূপগুড়ি, জয়ন্ত বর্মন :- :-হাসপাতালে কোভিড বিধি লঙ্ঘনের ছবি, ফের বিতর্কে মুখে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল।
মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরকালে ফের একবার বিতর্কের মুখে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল। কোভিদ বিধি লংঘন করে চলছে কোভিড টিকাকরণ কেন নিয়ম ভঙ্গ করা হচ্ছে হাসপাতালের দিকে আঙুল তুলছেন সকলে।
কোন রকম ভাবে প্রথম দোষ হয়ে গেলেও করোণা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে হাহাকার মানুষের মধ্যে, ভোর ৪ টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে বয়স্ক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা থেকে মাঝ বয়সী যুবক-যুবতীরা। আর সেখানেই ভ্যাকসিন নিতে আসা মানুষের গাদাগাদি ভীড়। হাসপাতালে ভ্যাকসিন নিতে আসা মানুষ দের মধ্যে নেই সামাজিক দূরত্ব বিধি, এমনকি মাস্ক নেই অভিকাংশ মানুষের মুখে। রীতিমতো ধূপগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই ধরনের ছবি প্রশ্নের মুখে ফেলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনকে।
উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী রবিবার শিলিগুড়িতে তার সরকারী অনুষ্ঠান থেকে করোণা বিধি মানার জন্য মানুষকে অনুরোধ করেন এবং সতর্ক করেন মাস্ক পড়তে বাধ্যতামূলক বলেন। এদিকে ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই কোভিড বিধি ভঙ্গের ছবি দেখা গেল ধুপগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।
যেখানে গতকাল জেলা পুলিশের তরফে জলপাইগুড়ি জেলা জুরে মাস্ক বিহীন মানুষদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়। কড়া হুঁশিয়ারি দেয়া হয় করোণা বিধি পালনের জন্য। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ধূপগুড়ি হাসপাতালের এই ছবি রীতিমতো প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে।
এদিকে জেলাগুলিতে করোনা গ্রাফ বারতে থাকায় চিন্তিত প্রশাসন। তাই পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে বিতরণ করা হয়েছে মাস্ক। এমনকি চলছে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং, সতর্ক করা হচ্ছে মানুষকে। যাতে কোনভাবে করোণা বিধি অমান্য করা না হয়। তাই পুনরায় রাত ১১ টা থেকে কার্যত নাইট কার্ফু লাগু করা হচ্ছে।
ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং বলেন, ইতিমধ্যে পৌরসভার তরফের প্রচারে নাম হয়েছে।সমস্ত ব্যাবসায়ী সংগঠন কে নিয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং টোটো চালক দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মাস্ক ছাড়া যাতে কোনো যাত্রীকে টোটো তে তোলা না হয়।এছাড়া করোনা বিধি যাতে সাধারণ মানুষ মেনে চলেন সেই বিষয়ে পুলিশকে সাহায্য করবে পৌরসভা। ভাইস চেয়ারম্যান মেনে নেন এক শ্রেণীর মানুষ এখনো মাস্ক ছাড়াই বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দু বছর হতে চলল তবুও হুঁশ ফেরেনি যাদের আগামীতে তারা সতর্ক হবেন না তা পরিষ্কার।
হাসপাতালে করোনা বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক কে প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি, এমন কি খারাপ ব্যবহার করেন সংবাদমাধ্যমের সাথে।
No comments:
Post a Comment