বঙ্গ গৌরব সম্মানে সম্মানিত দিনহাটার বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা ডাক্তার অজয় মণ্ডল
সমাজ সেবায় দিনহাটার বুকে যথেষ্ট ছাপ রেখেছেন দিনহাটার ডাক্তার অজয় মণ্ডল। দিনহাটায় কর্মসূত্রে এসে এখন দিনহাটাই হয়ে গেছে তাঁর ঘরের শহর। গ্রাম বাংলার অসহায় মানুষজনের পাশে দাঁড়িয়ে একের পর এক নজির সৃষ্টি করেছেন তিনি। সেই অজয়বাবু এবার Hotel Hisdusthan International এর তারকাখচিত গুনীজনদের সমাবেশে World Book of Star Records এর পক্ষ থেকে পেলেন বিশেষ সম্মান। বঙ্গ গৌরব সম্মানে সম্মানিত দিনহাটার বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা ডাক্তার অজয় মণ্ডল
ডাক্তারবাবুর হাতে এদিন পুরস্কার তুলে দিলেন পদ্মশ্রী নিরন্জন গোস্বামী, সংস্থার কর্নধার Indian Youth Icon ডাঃ রাজীব পাল । সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা ভারত সেবাশ্রম সংঘের কর্নধার দিলীপ মহারাজ , যোগা সম্রাট আচার্য্য ডঃ রাজা শাস্ত্রী , ব্রম্ভ্রকুমারিজের কর্নধার ব্রম্ভ্রকুমারী কানন বেহেন, বরেন্য নেতা সুভাষ চন্দ্র বোসের প্রপৌত্র চন্দ্র কুমার বোস, ভারতীয় মিম আর্টিস্ট পদ্মশ্রী নিরন্জন গোস্বামী , সিনেমা পরিচালক প্রবীর রায় , গায়িকা শান্তশ্রী ভট্টাচার্য্য, অভিনেত্রী দাগারমনি টুডু ও আরো বিশিষ্ট গুনীজনেরা ।
এবিষয়ে ডাক্তারবাবু বলেন, "বাবা মায়ের আশীর্বাদে সমাজ সেবা কাজে কাঠবিড়ালির মতো আমার ক্ষুদ্র অংশ্রগ্রহনের জন্য আরো একটা স্বীকৃতি ও প্রাপ্তি । জানিনা আমি এ সম্মানের যোগ্য কিনা। সীমিত সামর্থ্য দিয়ে চেষ্টা করি মানুষের পাশে থাকার । ছেলেবেলা থেকে দেখেছি আমরা গরীব হলেও বাবা মায়ের দলমত নির্বিশেষে নিরন্তর নিঃস্বার্থ সমাজসেবার কাজ। আমাদের এলাকার কারোর কোনো বিপদে আপদের মুশকিল আসান ছিলো আমার বাবা। বাবা মায়ের কাছ থেকে কাউকে খালি হাতে ফিরতে দেখিনি। তাদের রক্ত যে শরীরে বইছে। রক্তের অবাধ্য টান ভুলি কি করে। ছেলেবেলা থেকে বাবা মা কে দেখে শেখা সমাজসেবার শিক্ষাকে বাস্তবায়িত করতে কাঠবিড়ালির মতো সীমিত সামর্থ্যের ডালি নিয়ে আপ্রান চেষ্টা করে গেছি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। তার স্বীকৃতি স্বরূপ প্রাপ্তি এ সম্মান । তবে এ সম্মান আমার একার নয়। এ সম্মান সবার। যারা নিরন্তর আমার পাশে থেকে উৎসাহ দিয়ে গেছে। যারা আমার খারাপ সময়ে পাশে থেকেছে । এ পুরস্কার তাদের। এ সম্মান উৎসর্গ করি আমার পরিবার, সকল শুভাকাঙ্খী , আমার সকল দুঃস্থ অসহায় প্রিয় মানুষদের কে। সর্বোপরি উৎসর্গ করি আমার সমাজসেবার পুরো টিমকে যাদের ছাড়া আমার সমাজসেবা কোনো মতেই সম্ভব নয়। সর্বোপরি যার কথা না বললে নয় সে আমার পুর্নাঙ্গিনী মধুমিতা । যে আমার মেরুদন্ডকে সোজা করে ধরে রেখেছে যাতে ভেঙে না পড়ি। আমার সকল কাজে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বলেছে যে ভয় পেওনা মানুষের এই কঠিন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াও । সব ভালো হবে। কিছু হবেনা তোমার। এগিয়ে যাও। অসংখ্য ধন্যবাদ World Book of Star Record কে আজকের এই সম্মানের জন্য। এই সম্মান আমাকে আরো উৎসাহিত করলো সমাজসেবা ও ফ্রি চিকিৎসা পরিষেবা কাজে নিজেকে আরো বেশি বেশি করে নিয়োজিত করতে।"
পাশাপাশি তিনি ধন্যবাদ জানান সংস্থার সকল কর্নধার, জুরি ও সিলেকসান কমিটিকে তিনি বলেন, আজকের এই মহতী অনুষ্ঠানে পরিচিত হলাম সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ছাপ রাখা গুনী মানুষদের সাথে। দেখলাম এই গুনী মানুষ গুলো প্রচুর প্রচুর পুরস্কার পেয়েছে রাজ্য , দেশ ও বিদেশ থেকে। সেখানে ওদের কাছে আমি তো ক্ষুদ্র মানুষ বটে । এনাদের সংস্পর্শে এসে আমার কাজ করার ক্ষুধা টা আরো বেড়ে গেলো। সাথে সাথে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজ আলোকে আলোকিত এই সকল সম্মানীয় সকল গুনীজনদেরকে অসংখ্য শুভেচ্ছা এই “বঙ্গ গৌরব সম্মান ২০০২২” পুরস্কারের জন্য।
No comments:
Post a Comment