ঠাকুরনগর, উত্তর ২৪ পরগণা :
এক ভিন্নধর্মী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঠাকুরনগরের বড়াগ্রামে উদযাপিত হল এবারের বসন্তোৎসব। পুরো অনুষ্ঠানটি পরিবেশন করেন ‘ঠাকুরনগর বর্ণমালা আর্ট এণ্ড কালচারাল আকাডেমি’ ।এই গোষ্ঠীর কলাকুশলিরা বাসন্তী রঙের শাড়ী ও সাদা পাঞ্জাবীতে “ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল” নৃত্য ও গানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করেন এবং মঞ্চকে মুখরিত করে তোলেন।মূলত ইন্দ্রনীল ঘোষ মহাশয়ের তত্ত্বাবধানে ও প্রচেষ্টায় এই ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানটি দর্শকবৃন্দের সামনে বাস্তবতা লাভ করে।সঙ্গীত গুরু দেবদাস পাইন মহাশয়ের পরিচালনায় বর্ণমালার শিক্ষার্থীদের দ্বারা সমবেত সঙ্গীত দর্শকাসনকে মুগ্ধ করে তোলে। সমগ্র অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন শিক্ষারত্ন বাবুলাল সরকার মহাশয়। নাচ গান ও আবৃত্তির মাধ্যমে বনন্তোৎসবটি মোহময় করে তোলেন ‘সৃজন আবৃত্তি কেন্দ্র’এর কলাকুশলীরা।তাছাড়াও বিভিন্নস্তরের শিল্পীবৃন্দ অংশগ্রহণ রঙের উৎসবটিকে পরিপূর্ণতা দান করেন।‘কবি বিনয় মজুমদার স্মৃতিরক্ষা কমিটি’র কার্যকরি সভাপতি নাট্যবিদ ও সাহিত্যিক শ্রী দীপক মিত্র বলেন যে- ‘ঠাকুরনগরের এই দোল উৎসব শান্তিনিকেতনের দোল উৎসবের থেকে কোন অংশেই কম নয়’। ঠাকুরনগর ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সকল স্তরের সাধারণ জনগণের পাশাপাশি বিশিষ্ট্য ব্যক্তিরাও অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।অনুষ্ঠান মঞ্চে নৃ-তত্ত্ব গবেষক ড. অরূপ মজুমদার উল্লেখ করেন যে-‘দোল ভারতীয় সংস্কৃতির হাজার বছরের অন্যতম প্রধান সাংস্কৃতিক অঙ্গ।দোল উৎসব হয়ে উঠুক শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক হিসেবে’।
প্রতীক হিসেবে’।
Darun darun
ReplyDelete